স্বামী কখনও সন্তানের বাবা হতে পারবেনা জেনেও স্বামীর সংসার আঁকড়ে পড়ে ছিল স্ত্রী সনিয়া। কিন্তু খালাতো দেবর হাবিবুরের প্রলোভনে মা হবার বাসনায় তাকে দেহ দান করে ঠিকই মা হতে চলেছে সনিয়া কিন্তু এ সন্তানকে মেনে নিতে চাইছেন না স্বামী সুমন। সমাজপতিরাও বিচার করেনি। অবশেষে গাংনী থানায় একটি অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়িয়া গ্রামের সাজি পাড়ায়।
সোনিয়ার মামী হোসনেয়ারা জানান, সনিয়ার বাবা গাংনীর কোদাইলকাটি গ্রামের জাহাঙ্গীর তার মাকে ছেড়ে দেয়। পরে মা অন্যত্র বিয়ে করার পর ছোট বেলা থেকেই মামা বাড়িতে উপজেলার বাওট গ্রামে বড় হয়েছে সনিয়া। বছর দেড়েক আগে তার বিয়ে হয় সহড়াবাড়িয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে সুমনের সাথে। বিয়ের পরপরই জানতে পারে স্বামী সুমন কখনও সন্তানের বাবা হতে পারবেনা। তবুও সনিয়া সংসার আঁকড়ে পড়ে ছিল।
এদিকে খালাতো দেবর একই গ্রামের মৃত সুলতান শাহ’র ছেলে হাবিবুর ভাবী সনিয়াকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। এক সময় সন্তানের মা হবার স্বপ্ন দেখায় সে। সন্তানের মা হবার প্রলোভনে পড়ে দেবর হাবিবুরকে নারী জাতীর চরম সম্পদ বিলিয়ে দেয় সনিয়া। তার শরীরের ভেতরে বেড়ে উঠেছে আরেকটি শরীর। বিষয়টি জেনে যায় পরিবার প্রতিবেশি এমন কি গ্রামবাসিরাও।
স্বামি সুমন এ অনাগত সন্তানকে মেনে নিতে চাননি। স্ত্রীতে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে চেষ্টা করে। বসে গ্রাম্য সালিশি। সালিশে গ্রামের মাসুদ মেম্বর স্বামি সুমনকে সনিয়াকে ঘরে তুলে নিতে বলে এবং টাকার প্রলোভন দেখায়। সিদ্ধান্ত হয়, সনিয়াকে গর্ভপাত করানোর। কিন্তু বিধি বাম। গাংনীর কোন ক্লিনিক সনিয়ার গর্ভপাত করাতে রাজি হয়নি। অবশেষে ফিরে আসে সে।
সনিয়া দেবর হাবিবুরকে এ অনাগত সন্তানের দ্বায়িত্ব নিতে বললে হাবিব কিছু টাকা দিয়ে দায়মুক্তির প্রস্তাব দেয়। এদিকে প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতা ও মাসুদ মেম্বর হাবিবুরের পক্ষ নিয়ে সনিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে। নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে হাবিবুরকে।
অবশেষে নিরুপায় হয়ে গাংনী থানায় হাবিবুরকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোনিয়ার পরিবার।