মেহেরপুরের গাংনীতে আসবাবপত্র (খাট) বাকিতে বিক্রি না করায় সংঘর্ষে ক্রেতা ও ব্যবসায়ী পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের জুগিন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ক্রেতা পক্ষের জুগিন্দা গ্রামের মৃত মকরেম শেখের ছেলে তোহিদুল ইসলাম (৪০), আবু বকর (৩৭), তোফাজ্জল হোসেন (৫০) ও তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫)।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী পক্ষের একই গ্রামের আব্দুর রব এর ছেলে সাইদুল ইসলাম ((৩০) ও সহোদর সাজিদুল ইসলাম (২৫) এবং গোলাম রসুলের ছেলে ফলেদ হোসেন (৩৫), সহোদর আব্দুস সামাদ (৪৮)।
আহত আসবাবপত্র ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জানান, কিছুদিন পূর্বে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন ৪ হাজার টাকা জমা দিয়ে ১৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি খাট তৈরীর অর্ডার দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ওই খাটের ডেলিভারি নিতে গিয়ে দেলোয়ার আরও ৪ হাজার টাকা জমা দিয়ে ৮ হাজার টাকা কিছুদিন পরে দিবে বলে জানায়। ব্যবসায়ী সাইদুল বাকিতে খাট বিক্রি করবে না বলে জানালে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পূর্বের অগ্রিম জমাকৃত টাকা দেলোয়ারকে ফেরত দেয়া হয়। রাত ৯টার দিকে স্থানীয় মুদিও ব্যবসায়ী জুয়েলের দোকানে বসে থাকাবস্থায় মকরেম শেখের ছেলে সুরাইল (৩০) ও সঙ্গবদ্ধ দল সাইদুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা করে। সংবাদ পেয়ে সাইদুল ইসলামের আত্মীয়-স্বজন এসে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাইদুল ইসলামসহ ৪ জন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছে।
অন্যদিকে প্রতিপক্ষ সুরাইল জানান, খাট নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাইদুল ও তার সঙ্ঘবদ্ধ দলবল হাতুড়ি ও বাটাম দিয়ে পিটিয়ে ৪ জনকে আহত করে। তাদের মধ্যে তোহিদুল ও আবু বক্করের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে উভয় পক্ষই জানিয়েছে।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, উপজেলার জুগিন্দা গ্রামে মারামারি সংবাদ পেয়েছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।