মেহেরপুরের গাংনীতে আসমা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৪/০৫/২০২১ ইং) তারিখে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন। আজ শনিবার আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে আসমা খাতুনের সাথে একই উপজেলার বামন্দি ক্যাম্প পাড়ার রেজাউল হকের ছেলে ও সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাঈমুর রহমান ইরানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আসমার সাথে শশুর পক্ষের লোকজনের টুকিটাকি বিষয়ে মনোমালিন্যের ঘটনা ঘটতো। তাছাড়া গত ৩ সপ্তাহ আগে আসমা খাতুনের প্রায় দেড় মাস বয়সের বাচ্চা মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন। আসমা খাতুন এর মৃত্যুর কারণ হিসেবে মানসিক যন্ত্রণা ও পারিবারিক কলহকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
নিহত আসমা খাতুনের ননদ সুমাইয়া আক্তার জানান, গত ৬ বছর আগে আসমা ও তার ভাইয়ের মধ্যে প্রেম সম্পর্কে গড়ে ওঠে। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টার দিকে বাসায় কেউ না থাকায় সে তার নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। তখন পরিবার ও স্থানীয় লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে বামন্দি সোনার বাংলা ক্লিনিকে (হুদা ক্লিনিক) নিয়ে যায়। শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। আসমার মৃত্যুর কারণ বিষয়ে ধূম্রজাল ও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে আসল কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে আসমা খাতুনের পিতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে অসুস্থতার অযুহাতে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শওকত কবীর এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কলটা রিসিভ করেন নাই।