রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

গাংনীতে ঠিকাদার আনারুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন

তোফায়েল হোসেন
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ৪৬৯ বার পঠিত

মেহেরপুরের গাংনী বাজারে জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ২৭টি দোকানঘর নির্মাণের সময় ২৮টি দোকান নির্মাণ করে অতিরিক্ত একটি দোকানের বরাদ্দ ও নির্মাণ খরচ আদায়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলণ করেছে ঠিকাদার আনারুল ইসলাম। সোমবার রাত ৮টার দিকে তার নিজ বাসভবনের ব্যবসায়িক অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। আনারুল ইসলাম গাংনী বাজারপাড়ার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।

তিনি জানান, প্রায় ২০-২৫ বছর যাবৎ সততা ও সুনামের সাথে ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছেন। বিগত ২০০৫ সালে সিডিউল মোতাবেক গাংনী বাজারে জেলা পরিষদ মার্কেটে ২৭টি দোকান ঘর নির্মাণের জন্য তিনি ঠিকাদার হিসেবে নির্বাচিত হন।

পরবর্তিতে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হলে তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (মরজেম হোসেন) এর মৌখিক পরামর্শে তিনি ২৮টি দোকান ঘর নির্মাণ করে ২০০৬ সালে লিখিতভাবে ২৭টি দোকান জেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করেন।

পরে অতিরিক্ত দোকানটির নির্মাণ খরচের বিল চাইলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে দিন প্রদান করা হবে। দোকানটির বিল পরিশোধ না করা পর্যন্ত ঠিকাদারের নিজ আয়ত্তে রাখার পরামর্শ দেন বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার আনারুল ইসলাম। সেই সময় থেকে অতিরিক্ত দোকান ঘরটি ঠিকাদার আনারুল ইসলাম তার নিজ আয়ত্তে রেখে বিভিন্ন সময়ে ‌‌ব্যবসায়িক অফিস ও গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।

২০১১ সালে অতিরিক্ত দোকানটির নির্মাণ খরচের বিল পরিশোধ ছাড়া ঘরটি জেলা পরিষদকে বুঝিয়ে দিতে ঠিকাদার আনারুল ইসলামকে নোটিশ দেয়া হয়।

নোটিশ পেয়ে এর প্রতিকার চেয়ে ঠিকাদার আনারুল ইসলাম বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর দেঃ ১৫৫/২০১১। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

ঠিকাদার আনারুল ইসলাম আরো জানান, ওই দোকানঘরটি বর্তমানে তিনি লুব্রিক্যান্টের ১ নম্বর গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছেন।

গত ১৮ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে রাত আনুমানিক পৌনে ১২ টার দিকে আনছার আলীসহ মোট ছয় জন তার দোকানের তালা ভেঙে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার লুব্রিক্যান্টের মালামাল চুরি ও লুট করে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
দেশীয় অস্ত্র হাতে লুটেরাদের হামলার কবল থেকে বাঁচতে প্রাণভয়ে তিনি পালিয়ে আসেন।

১৯ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে তিনি গাংনী বাজার কমিটির নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে কোন সুরাহা না পেয়ে তিনি ২১ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানেও সুরাহা না পেয়ে অবশেষে ২৭ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে মেহেরপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর সিআর ৭১০/২০২২। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে ওই আনসার আলী গং গোডাউনটির তালা খুলে ক্লপসেবল গেটসহ অবশিষ্ট যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায় (ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণে রয়েছে বলেও জানান তিনি)। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ঠিকাদার আনারুল ইসলাম। এ ঘটনায় আরো একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ঠিকাদার আনারুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 gangnisongbad.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
ThemesBazar-Jowfhowo