মেহেরপুরের গাংনীতে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের (খুরের) আঘাতে রোজিনা খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূ আহত হয়েছে এবং মেয়েকে বাঁচাতে শশুরের ছোঁড়া ইটের আঘাতে জামাতা সাইফুল ইসলাম (৩৫) আহত হয়ে দুজনেই গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে দেবীপুর দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। রোজিনা খাতুন দেবীপুর গ্রামের আতাহার আলীর মেয়ে ও সাইফুল ইসলাম বামন্দি নিশিপুর গ্রামের ভাদু’র ছেলে।
আহত রোজিনা খাতুনের বোন আসানুর জানান, সাইফুলের সাথে রোজিনার প্রায় ১৪/১৫ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। সংসার চলাকালীন সময়ে এক মেয়ে সুম্মা খাতুন (১২) ও এক ছেলে রিয়াদ (৮) এর জন্ম হয়। সাইফুল প্রায় দিনই হিরোইনের নেশা করে বাড়িতে ফিরে রোজিনা খাতুন এর উপর নির্যাতন করে। ইতিপূর্বেও সাইফুলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রোজিনা খাতুন আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়েছিল। এ সব কারণে রোজিনা সাইফুল ইসলামকে তালাক দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ছিল। কিন্তু তালাকের পরেও সাইফুল বাড়িতে এসে অনেক ঝামেলা করার কারণে বামন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে দুজনে প্রায় ১ বছর পূর্বে আবার বিয়ে করে ঘর সংসার করে আসছে। আজ ভোরে এ ঘটনা ঘটায় চেয়ারম্যান সাহেবকে জানালে তিনি পুলিশের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি,এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।