মেহেরপুরের গাংনীতে পরকীয়ার সম্পর্ক ঢাকতে নাটক সাজিয়ে মিঠুন (৩৩) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কুলবাড়িয়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
মিঠুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। আহত মিঠুন জানান, তিনি কনস্ট্রাকশনের কাজ করেন। কনস্ট্রাকশনের কাজ করতে গিয়ে নওয়াপাড়া গ্রামের আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী আক্তারনের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আক্তারনের সাথে প্রায় তার মোবাইল ফোনে কথা হতো। বুধবার রাতে আক্তারন মিঠুনকে ফোন করে তার বাড়িতে ডেকে ছিল। মিঠুন তারেক নামের এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে আক্তারনের বাড়িতে যাওয়ার পথে কুলবাড়িয়া মাঠের মধ্যে আক্তারনের স্বামী নওয়াপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আক্তারুল ইসলাম (৩৫), সহোদর ফারুক হোসেন (৪০) ও আশিকুল (৩৭), ছেলে রিদয় (১৯) এবং একই গ্রামের মোস্তফার ছেলে সজীব (২১) তার উপর অতর্কিত হামলা করে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। সেই সাথে একটি মোটরসাইকেল, একটি মোবাইল ও নগদ ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। তবে মিঠুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষ আক্তারুল ইসলাম জানান, ব্যবসার সূত্রে মিঠুনের কাছে তিনি ৪০ হাজার ৩ শ’ টাকা পান। মিঠুন টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো আক্তারুলকে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে। বিষয়টি এলাকার লোকজন জানলে মিঠুনকে এলাকার জনগণ গণপিটুনি দেয়। সংবাদ পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উল্লেখিত ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে গাংনী থানায় নিয়ে যায়।