মেহেরপুরের গাংনীতে পিকনিকের বাস উল্টে শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়কের তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া কলেজের বিপরীত পাশে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা সকলে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর ও বর্শিবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
গাংনীর বামন্দি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর ষ্টেশন ইনচার্জ ইছাহক আলী বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মেহেরপুর সদরের রাজনগর গ্রাম থেকে পারিবারিকভাবে হাসান পরিবহন নামের একটি বাস রিজার্ভ করে প্রায় ৪০ জনের একটি দল নাটোরের লালপুরে পিকনিকে যাচ্ছিলেন। বাসটির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার মেহেরপুর জ- ০৪- ০০১৬। পথিমধ্যে তেরাইল- জোড়পুকুরিয়া কলেজ এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। সংবাদ পেয়ে বামন্দি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন ইনচার্জ ইছাহক আলীর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে আহত ৬ জনকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তবে নিহতের কোন ঘটনা ঘটে নাই। পরে আরো কয়েকজন ব্যক্তিগতভাবে হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মুবাশ শিরিন আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
আহতরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের দরুদ শেখের ছেলে যথাক্রমে শাওন (২৮) ও দুদুল হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জাকির হোসেন (২৮), জাকিরুল ইসলামের মেয়ে জুঁই (১০), ঝন্টু হোসেনের ছেলে নাহিদ (১৮), রাশেদুল ইসলামের স্ত্রী মুক্তি খাতুন (২৫), শাওন হোসেনের স্ত্রী মিলি খাতুন (২০), দেলু হোসেনের স্ত্রী খাজিরণ নেছা (৩০) ও মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১০), বর্শিবাড়িয়া গ্রামের রায়হান আলীর স্ত্রী চামেলী খাতুন (২২), হিজুলি গ্রামের সুরমান আলীর স্ত্রী পলি খাতুন (৩৬) এবং ছেলে সম্রাট (১৮)।
এ দুর্ঘটনায় আহত নাহিদ জানান, পারিবারিকভাবে বাস রিজার্ভ করে নারী শিশু ও পুরুষ মিলে প্রায় ৪০ জন রাজনগর থেকে নাটোরের লালপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে তেরাইল- জোড়পুকুরিয়া কলেজ এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, পিকনিকের বাস উল্টে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে সংবাদ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।