রোববার (০৩/১০/২০২১) রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাংনীর গাড়াডোব ও বাওট গ্রামে পৃথক সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্ততঃ ১৫ আহত হয়েছেন। আহতদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গাংনী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনা দুটির তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, খাস জমিতে স্থাপনা নির্মান নিয়ে আইয়ুব আলী ও আখের আলী পরিবারের মধ্যে এক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হচ্ছেন- আয়ুব আলী পক্ষের আয়ুব আলী(৫৫) ও তার স্ত্রী জাহানারা (৫০), ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০) ও তার স্ত্রী হাসি(২৫) এবং ইমরান (১৮)। আখের আলী পক্ষের আখের আলী(৫৫) ও তার স্ত্রী মুসলিমা(৪০), মিলন(৩০) ও তার স্ত্রী নাহার(২৫), আফাজ উদ্দীনের স্ত্রী ছবিরন(৪০)।
জাহাঙ্গীর জানান, খাস জমিতে তিনি স্থাপনা নির্মান করছিলেন। পরে ওই জমি আখের আলী নিজের দাবী করে একটি ঢেউ টিনশেডের ছাপড়া ঘর স্থাপন করে বাড়ির পথ আটকিয়ে দেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়া নিয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলারইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিনের সাথে প্রতিবেশী ইকলাছের বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে উভয় পক্ষের চার জন আহত হয়। এরা হচ্ছে- ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন (৫০) ও প্রতিপক্ষ ইকলাছ(৩০) ও তার বাবা মন্টু(৫৫) এবং মা বলুয়ারা(৪৫)।
ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দীন জানান, ইকলাছ একজন মাদকাসক্ত। সে গাঁজা সেবন করে আমার কর্মীদেরকে ভোট চাইতে বারণ করে ও নানা প্রকার হুমকী দেয়। বিষয়টি জানার জন্য গেলে ইকলাস ও তার লোকজন হামলা করে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন ইকলাছের পরিবারের উপর হামলা চালায়।
এ হামলার ঘটনায় লুটপাটের অভিযোগ করেছে ইকলাছের পরিবার। তাদের দাবী সাহাবুদ্দিনের লোকজন নগদ দেড়লাখ টাকা, স্বর্ণের চুড়ি ও গলার হার লুটপাট করেছে। তবে সাহাবুদ্দিন বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, গাড়াডোবে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে এসআই আতিক ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করেছেন। তাছাড়া বাওট গ্রামে সংঘর্ষের বিষয়ে উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।