মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভবানীপুর সাইরপাড়ার প্রবাসী শিমুলের বাড়ি থেকে বোমাসদৃশ একটি বস্তু উদ্ধার করেছে ভবানীপুর ক্যাম্প পুলিশ। বুধবার রাত ৯টার দিকে প্রবাসী শিমুলের বাড়ি থেকে বস্তুটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, কুমারী থাকাবস্থায় বর্তমান প্রবাসীর স্ত্রী রিনা খাতুনের সাথে গ্রামের মজিরউদ্দিনের ছেলে জোহার বিয়ের সম্বন্ধ হয়েছিল। সেই সময় রিনার পিতা মাতা জোহার সাথে বিয়ে দেয়নি। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবেই একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে শিমুলের সাথে রিনার বিয়ে হয়। প্রায় পাঁচ বছর যাবত শিমুল কর্মের সুবাদে কাতারে প্রবাস জীবন যাপন করছেন। তারপর থেকে জোহা রিনা খাতুনকে বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব, মোবাইল ফোনে বিরক্ত, ও সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। চলতি বছরের মার্চ মাসের ১৪ তারিখে গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনতে গেলে রিনা খাতুনের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। সম্মানের ভয়ে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল ইসলামের পরামর্শে চুরির ঘটনায় মামলা করা হয় নাই। কয়েকদিন আগে জোহা রিনা খাতুনকে আবারো বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। রিনা খাতুন বিষয়টি তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে জানায়। তার স্বামীর পরামর্শে সহোদর ভাই আরমান আলীর সহযোগিতায় এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখে জোহার বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন রিনা খাতুন। বুধবার রাত ৯টার দিকে ঝড় বৃষ্টির রাত উঠানে পানি জমে ছিল। রিনার শাশুড়ি উলফাতন টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘরের বাইরে আসলে প্রাচীরের উপর থেকে কালো টিপ দিয়ে জড়ানো বোমাসদৃশ একটি বস্তু উঠানে জমে থাকা পানির উপর এসে পড়ে। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল ইসলামকে জানান। আনারুল ইসলাম ভবানীপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ বখতিয়ার রহমানকে জানালে তিনি এসে বোমাসদৃশ বস্তুটি বালতির পানিতে রেখে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জোহার বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তার স্ত্রী জমেলা খাতুন জানান, কয়েকদিন আগে মোবাইল ফোনটি ভেঙে গেছে। তিন চারদিন হলো তার স্বামী ঢাকাতে গেছেন। বর্তমানে লকডাউন চলছে তাহলে তিনি ঢাকায় কিভাবে গেলেন ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে ভবানীপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ বখতিয়ার রহমান জানান, বোমাসদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে খেলনা জাতীয় কিছু বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাউকে ভয় ভীতি প্রদর্শনের জন্য বস্তুটি হয়তো ছুড়ে মারা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সঠিক রহস্য উদঘাটনে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।