সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরের গাংনীতেও শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়।
সকালে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এসময় উপজেলা প্রশাসন, গাংনী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, আনসার ও ভিডিপি শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
পুস্পার্ঘ অর্পণ শেষে, উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে হাসপাতাল বাজার ঘুরে পূর্বের স্থানে এসে শেষ হয়।
পরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম ইলিয়াস হোসেন।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী।
“শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সভায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মুনতাজ আলী, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শফি কামাল পলাশ, উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু- কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে।” বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।
এ সময় গাংনী থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী, উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার উর্মিলাসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম হয়েছিল শেখ রাসেলের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার করে যে ঘাতক চক্র, ১১ বছরের শিশু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র রাসেলও রেহাই দেয়নি তারা।
তখন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।