মেহেরপুরের গাংনীতে সিটি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট খাদেমুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহষ্পতিবার (০২/০৯/২০২১) সন্ধ্যায় মেহেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহীন রেজার আদালতে সুমন জবানবন্দী প্রদান করেন। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুমন মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার টুঙ্গী গোপালপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সাজেদুল ইসলাম আসামি সুমন(৩৫)কে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি সুমন স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত শনিবার (২৮ আগস্ট ২০২১) তারিখে মেহেরপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত (২৭ আগস্ট ২০২১) এ ঘটনায় খাদেমুলের ভাই আরফান আলী ঝন্টু বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২৭/২১, তারিখ ২৭/০৮/২০২।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, সিটি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট খাদেমুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে সন্দেহাতীত ভাবে সুমনকে তার শশুরবাড়ি থেকে গত (২৮ আগস্ট ২০২১) রাতে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ছিন্তাইয়ের কৌশল এবং কারা এ ছিন্তাইয়ে জড়িত তার বিশদ বর্ণনা দেয় সুমন। সে অনুযায়ী ছিন্তাই কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল, হেলমেট ও ছিন্তাই কাজে ব্যবহৃত রিভলবারের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গতঃ গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট ২০২১) তারিখ সকালে ছিন্তাইকারীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ খাদেমুল ইসলামকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেলে নেয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে।
এমন একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ঘটনায় অতি দ্রুততার সাথে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং মূল আসামী গ্রেপ্তারসহ আলামত উদ্ধার করায় বাদীসহ এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামসহ পুলিশ বাহিনীর সকলের প্রতি এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..