মেহেরপুরের গাংনীতে স্বামী-স্ত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড টার দিকে উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বামী সাগর (২৩) মেহেরপুর সদর উপজেলার নবগঠিত বারাদি ইউনিয়নের পাটকেলপোতা গ্রামের ইকতার আলীর ছেলে ও স্ত্রী চামেলি খাতুন (১৮) গাংনী উপজেলার দিগলকান্দি গুচ্ছগ্রামের কালু মিয়ার মেয়ে।
নিহত চামেলী খাতুনের মা হাফিজা খাতুন জানান, সাগরের সাথে তার মেয়ের প্রায় এক বছর আগে বিয়ে হয় এবং ঘর-সংসার চলতে থাকে। গতকাল বিকেলে জামাই সাগর তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। কিছু সময় পরে বাড়ির বাইরে গিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফিরে আসে। শাশুড়ি হিসেবে তিনি আপ্যায়নের ব্যবস্থাও করেছেন সাধ্যমত। আজ মঙ্গলবার (০৭ জুন) দুপুরে তিনি রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় ছোট মেয়ে শিল্পী খাতুন স্কুল থেকে ফিরে এসে ঘরে ঢুকেই বড় বোন চামেলি ও ভগ্নিপতি সাগরকে টিনশেড ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে মা হাফিজা খাতুনসহ আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। আড়ার সাথে পেঁচানো উড়না কেটে দুজনকে নামানো হয়। পরে স্থানীয় ডাক্তার এসে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর জানা গেছে জামাইয়ের উপর জীনের দৃষ্টি রয়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে মেয়ে চামেলি খাতুনকে এপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন করিয়াছেন। তাদের দুজনের মধ্যে কোন ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যথেষ্ট মিল মহব্বত ছিল। কিভাবে এ ঘটনা ঘটলো তিনি কিছুই জানেন না।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, গলায় ফাঁস নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।