মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেরাইল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা (৪৮) এর অর্ধগলিত লাশ কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরতলীর কমলাপুর ভাড়ার বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। গোলাম মোস্তফা উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের মৃত মিরজান বিশ্বাসের ছেলে ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোলাম মোস্তফা নামের কলেজের অধ্যক্ষ কুষ্টিয়া শহরতলীর কমলাপুরের আফজাল হোসেনের বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকেন। হঠাৎ ওই ফ্লাট থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার কারণে বাড়ির মালিক আফজাল হোসেন ৯৯৯ ফোন দিলে কুষ্টিয়া মডেল থানার এস আই আব্দুল কুদ্দুস এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যান । ফ্লাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকার কারণে তারা ছিটকানী ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেন ।
এস আই আব্দুল কুদ্দুস জানান, ঘরে প্রবেশ করার পর নিহতের লাশ টয়লেটের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং মরদেহ দিয়ে প্রচন্ড দূর্গন্ধ বের হচ্ছিলো।
টয়লেটের পানির টিপকল ছাড়া অবস্থায় ছিল। নিহতের দুইটা মোবাইল ফোন বন্ধ অবস্থায় খাবার টেবিলে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কমিশনার নাইমুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর তার ব্যবহৃত বন্ধ মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে চালু করলে নিহতের বোনের মেয়ে ফোন করেন এবং জানান গত রবিবার (২৪ জানুয়ারী) তারিখ থেকে মোবাইল বন্ধ থাকার কারণে পরিবারের কেউ তার সাথে যোগাযোগ করতে পারে নাই ।
কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ।