গাংনীর রামদেবপুরে রাস্তা এইচবিবি করণে নিম্ন মানের ইট ও বালি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। দুলাখ টাকা ব্যায়ে ৬২.৭০৭ মিটার রাস্তাটির এইচবিবি করণ কাজের প্রকল্প চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তেতুঁলবাড়িয়া ইউপি মেম্বর রফিক। তিনি বলেছেন, রাস্তাটি সঠিকভাবেই নির্মিত হচ্ছে।
ইউপি সুত্রে জানা গেছে, রামদেবপুরের সেলিমের বাড়ি হতে কালিদহ মুখি ৩২.২০৭ মিটার ও ফিল্ড পাড়ার আলতাফের বাড়ি হতে আজিজুলের বাড়ি পর্যন্ত ৩০.৫০০ মিটার রাস্তা এইচবিবি করণে ব্যয় ধরা হয় দু’লাখ টাকা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তাটিতে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তা দুই ও তিন নম্বর। এইচবিবির উপর বালি দেয়া হয়নি। যৎসামান্য বালি ছিটানো হয়েছে। ইটের গাথুনী দেয়া হয়েছে ফাঁকা করে। স্বল্প পরিমান ইট দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। রাস্তার দুপাশে মাটি ভরাট করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় করেকজন জানান, রফিক মেম্বর আর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম দুজনই যোগ সাজসে নিম্ন মানের কাজ করে বিল উত্তোলন করে ভাগাভাগি করেন। ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা এইচবিবি করণে অনিয়ম করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প চেয়ারম্যান রফিক মেম্বর জানান, কোন অনিয়ম করা হয়নি। এক নম্বর ইট ব্যবহার করা হয়েছে। বালি আর রাস্তার সাইডে মাটি দেয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না। এইচবিবি করণে ফাঁকা করে ইটের গাথুনী দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, কাজ কি সব সমান ভাবে হয় ? এক আধটু এদিক ওদিক হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, কোন অনিয়ম হয়নি। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা নির্মাণ করেছি। ইট এক নম্বর দেয়া হয়েছে। তবে দু একটা ইট একটু নরমাল হতে পারে।
সূত্রঃ যায়যায় দিন।