মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মাদ্রাসা, মসজিদ, গোরস্থান ও ঈদগাহের কেয়ার টেকার চাঞ্চল্যকর ছহির উদ্দীন হত্যা মামলায় ইনদাদুল হক (৬২) নামে আরো এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন) এর সদস্যরা। সে ওই গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে। রোববার সকাল সোয়া ৭টার দিকে পিবিআই কুষ্টিয়ার একটি টীম অভিযান চালিয়ে ইনদাদুল হক ওরফে ইন্দাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন।
গাংনী থানা পুলিশ দির্ঘদিন তদন্ত শেষে মামলাটি গত ১৫/১১/২০২০ তারিখে পিবিআইকে হস্তান্তর করেন।
পিবিআই এর এসআই শরিফুল ইসলাম মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। গোপন তদন্তে শুকুর আলীর ছেলে খোকন (৩৭) এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে গত ১১ এপ্রিল তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইন্দাদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, ছহির উদ্দীন মাদ্রাসা, মসজিদ, গোরস্থান ও ঈদগাহের দেখভালের কাজ করতেন। একই সঙ্গে মাদ্রাসার পাশের মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। তাছাড়া তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। তিনি জিবীত থাকাবস্থায় কেউ নতুন করে সেখানে নিয়োগ পাবেন না আবার ওই প্রতিষ্ঠানের অর্থ অপচয় করতে পারতেন না। ইন্দাদুল হক ওই প্রতিষ্ঠানের আম বাগান লীজ নিতে চেয়েছিলেন। ছহির উদ্দীনের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এতেই রাগান্বিত হয়ে তাকে খুন করা হয়েছে। এমনই তথ্য জানিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এসআই শরিফুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে ছহির উদ্দিন (৬৫) নিজ উদ্যোগে মাদ্রাসা, মসজিদ, গোরস্থান ও ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করে নিজেই প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখভালের কাজ করতেন। একই সাথে মাদ্রাসার মসজিদে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে মুয়াজ্জিন ছিলেন। গেল বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সকালে ছাগলের পাতা কাটার জন্য গোরস্থানের পাশে গিয়েছিলেন। এসময় মুখে কালো মুখোশপরা দুই জন দুর্বৃত্ত ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।