মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তালাবদ্ধ অফিস রুম থেকে ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবারে চুরি হয়ে যাওয়া ল্যাপটপটি শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উদ্ধার হলেও ল্যাপটপ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে সরকারি সমস্ত ডকুমেন্টস। এ চুরির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, টি বি সেকশনের ল্যাব টেকনিশিয়ান মাখন এর ব্যবহৃত এইচপি কোম্পানীর একটি ল্যাপটপ তার তালাবদ্ধ অফিস রুম থেকে চুরি হয়ে যায়। চুরির ঘটনা জানাজানি হলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এক পর্যায়ে শনিবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আরএমও ডাঃ বিডি দাস ল্যাপটপটি
উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ল্যাপটপটি কে নিয়েছিল এবং কোথায় ছিল এবং কেনই বা সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস মুছে ফেলা হয়েছে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আরএমও ডাঃ বিডি দাস কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
টি বি সেকশনের ল্যাব টেকনিশিয়ান মাখন জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় তিনি অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় চলে যান। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শনিবার সকালে অফিসে এসে রুমের তালা খুলতে না পেরে বিষয়টি তিনি কর্তৃপক্ষকে জানান। কয়েকজন স্টাফের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে দেখেন তার অফিস কক্ষে রেখে আসা ল্যাপটপটি নাই। বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
শনিবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আরএমও ডাঃ বিডি দাস ল্যাপটপটি উদ্ধার করে নিয়ে আসলেও ল্যাপটপের সমস্ত সরকারী ডকুমেন্টস মুছে ফেলা হয়েছে। এই ল্যাপটপটি পুনরায় ঠিক করতে আইটি ইঞ্জিনিয়ার লাগবে বলে জানান তিনি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান শরীফ জানান, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি ল্যাপটপ চুরি হয়েছিল। ল্যাপটপটি আরএমও ডাঃ বিডি দাস উদ্ধার করে আনলেও সরকারি গুরুত্বপুর্ণ ডকুমেন্টস গুলো মুছে দেওয়া হয়েছে। অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ল্যাপটপটি কে নিয়েছিল এবং কোথায় ছিল এবং কেনই বা সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস মুছে ফেলা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে আরএমও মুখ খুলতে রাজি হননি।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।