মেহেরপুরের গাংনীতে ছোট ভাই হবিবর রহমানের লাঠির আঘাতে বড় ভাই খলিলুর রহমান (৬৫) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে নিহতের স্ত্রী আশুরা খাতুন। সোমবার (২৩ মে) বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিৎিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক। মৃত খলিলুর রহমান উপজেলার হিন্দা গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত মুনসুর আলীর ছেলে।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
নিহতের স্ত্রী আশুরা খাতুন জানান, প্রতিপক্ষ হবিবর রহমানের সাথে মাঠের ১০ কাঠা জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। শনিবার (২১ মে) সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে লেবু গাছের ডাল ভাঙ্গা সন্দেহে প্রতিপক্ষ নিহতের ছোট ভাই হবিবর রহমান, ননদের স্বামী বক্কর আলী, তার স্ত্রী আজিমন ও ছেলে সবুজ মিলে তার স্বামীর উপর পেরেক যুক্ত লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম ও আহত করে।
স্থানীয়রা খলিলুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ভর্তি রাখা হয়। শারীরিক সুস্থতা বোধ করায় রোববার বিকেলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবারও মেহেরপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার (২৩ মে) বেলা ১১ দিকে তার মৃত্যু হয়।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, উপজেলার হিন্দা গ্রামে ছোট ভাইয়ের আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। অভিযুক্ত হবিবর রহমান ও অন্যান্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।