পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি পশুহাটে পর্যাপ্ত ছাগল ভেড়া থাকলেও কাঙ্খিত ক্রেতা নেই। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এমনটিই দেখা গেছে। আগামী ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলিম জাতির সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আযহা। মাঝে বাকি আর মাত্র ৩টি দিন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা কোরবানিকে ঘিরে ছাগল ভেড়া নিতে আসে ঐতিহ্যবাহি এ বারাদি পশুহাটে। পর্যাপ্ত পশু আমদানি হলেও নেই তেমন বেচা-কেনা। পশুর মালিকরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বাইরের জেলা থেকে ব্যবসায়ী না আসাকে দায়ী করেছেন। বাজারে অবস্থানরত বাহিরে থেকে আসা কিছু ব্যবসায়ী এ অভিযোগ অস্বীকার করে পশুর আকাশচুম্বী দামকে দায়ী করে পশুর কেনা-বেচা কম হচ্ছে উল্লেখ করেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা ও অঞ্চল থেকে মেহেরপুরের ব্লাক বেঙ্গল ছাগল কিনতে ভিড় করে থাকেন। মেহেরপুর জেলাতে পশুহাট হিসাবে সর্বপ্রথম বারাদী ছাগলের হাট প্রতিষ্ঠিত হয়। যার বয়স শত বছর পেরিয়ে গেছে। এতদিনেও বারাদি পশুহাটের কদর কমেনি। সারা বছরজুড়েই সপ্তাহের শনি ও বুধবার হাটটিতে ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি দেখা যায় চোখে পড়ার মতো। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, ফরিদপুর, রাজবাড়ি থেকে জেলার ব্লাক বেঙ্গল ছাগল, গাড়ল ও ভেড়া কিনতে ব্যবসায়ীরা এ পশুহাটে ভিড় করে থাকেন। ট্রাক বোঝায় করে পশু নিয়ে যান দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ বছর করোনার কারণে বিক্রেতারা তাদের খামার বা বাড়িতে পালিত ছাগল নিয়ে হাটে গিয়ে বিক্রি না হওয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে। তবে ঈদের আরো কয়েকদিন বাকি থাকায় এবছর এখনও বিক্রির আশায় আছেন ছাগল ভেড়া পালনকারীরা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাগল ব্যবসায়ী মহাবুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন আমরা এ পশুহাটে ছাগল আনতে পারিনি। ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আজ এ পশুহাটে এসেছি। এসে দেখি ক্রেতা নেই। একই কথা জানালেন মুজিবনগরের ছাগল ভেড়া ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান।