বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন না থাকা এবং ডেন্টিস্ট বিষয়ে কোন ডিগ্রী নাই, তারপরও নিজেকে ডেন্টিস্ট ও (এমডি) পরিচয়ে চিকিৎসা প্রতারণার দায়ে ভুয়া দন্ত চিকিৎসক এমদাদুল হক নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসক এমদাদুল হক (৩৫) উপজেলার করমদি গ্রামের সরকার পাড়ার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
রোববার দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাংনী উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম এর নেতৃত্বে উপজেলার করমদি সন্ধানী বাজারে “করমদি ডেন্টাল কেয়ার” এর চেম্বারে আকষ্মিক অভিযান চালানো হয়। মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল অ্যাক্ট-২০১০ সালের ২৯ (২) ধারা লঙ্ঘন করায় তাকে এ দন্ডাদেশ দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়, উপজেলার তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের করমদি সন্ধানী বাজারে দন্ত চিকিৎসক হিসেবে প্রায় ৮ বছর ধরে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন এমদাদুল হক। সাইনবোর্ডে ইমদাদুল হকের যোগ্যতা লেখা রয়েছে নামের পূর্বে ডেন্টিস্ট ও নামের পরে (এমডি)। এ সময় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফেরদৌস পারভেজ তার যোগ্যতা বিষয়ে কাগজপত্র যাচাই করার সময় ডেন্টিস্ট এমদাদুল হক তার যোগ্যতার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হন নাই।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী হাকিম নাজমুল আলম জানান, এমদাদুল হক তিনি যে একজন চিকিৎসক সেটা প্রমান করার মতো কোনো সনদ তার কাছে নাই। তিনি দন্ত চিকিৎসার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এমদাদুল হক তার দোষ স্বীকার করেছেন। এই কারণে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরে তিনি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে কারাদণ্ড থেকে রেহাই পান। এ সময় এমদাদুল হক এর চেম্বারের সামনে থাকা সাইনবোর্ডটি বিনষ্ট করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায়র্্যাব-৬ এর একটি টিম সহযোগিতা করেন।