মেহেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহা খাতুনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ১ নম্বর আসামি কালু ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারী)) মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তারিক হাসানের আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে মেহেরপুর স্টেডিয়াম পাড়া প্রগতি ক্লিনিকের সামনে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম সালেহার চিৎকারে মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই সোহেল এবং এএসআই ইব্রাহিম এলাকাবাসীর সাহায্যে কালুকে আটক করেন এবং রুবেল টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। আটককৃত কালু মেহেরপুর শহরের গোরস্থান পাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে এবং পলাতক রুবেল একই এলাকার মঈন ড্রাইভারের ছেলে।
স্বীকারোক্তি প্রদানের বিষয় নিশ্চিত করে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান কালু ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি এবং ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইন্সপেক্টর সাজেদুল ইসলাম ইতোপূর্বে গাংনী থানায় চাকুরীকালীন
সময়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করে আইনে সোপর্দ করে উপজেলাবাসীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন। মেহেরপুরে দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই একের পর এক সাফল্য অর্জন করে চলেছেন।
সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করে প্রকৃত দোষীকে শনাক্ত করে আইনে সোপর্দ করায় মেহেরপুরের সুযোগ্য পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল)সহ জেলা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মেহেরপুর সদর থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ দারা খান জানান, বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহা খাতুনের ছেলে সাইদুল আলম ওরফে সাগর বাদী হয়ে কালু ও রুবেল ২ জনকে আসামি করে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ এর ৪ ছিনতাই করার অপরাধে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ১৬, তারিখঃ ০৯/০২/২০২২ এ মামলায় কালু নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কালু প্রাথমিকভাবে দোষ স্বীকার করেছে এবং আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। পলাতক আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।