কখনো সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মানুষকে সচেতন করছেন, কখনো শীত বস্ত্র নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন হতদরিদ্র সাধারন মানুষের কাছে। সকাল থেকে মধ্যরাত অবদি চার চারটি দপ্তরের কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিমাসে নিজের বেতনের কিছু টাকা ব্যয় করছেন, দেশে ম্যারাথনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা প্রতিভাবান এথলেটকে এগিয়ে নিতে। তিনি আর কেউ নন এমন একজন মানব দরদী মানবিক ইউএনও প্রীতম সাহা।
‘জনসেবাই জনপ্রশাসন’ এ বাক্যটির বাস্তব উদাহারণ যেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা। উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বের পাশাপাশি একাধারে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার প্রসাশক এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। কাজ পাগল মানুষ বলতে যা বোঝায় এ যেন ঠিক তাই! সকাল নয়টা থেকে শুরু করে রাত বারোটা পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজ করা এটা যেন তাঁর প্রতিদিনের রুটিন। দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে কোন কোন দিন রাত বারোটার পরেও অফিস করতে দেখা যায়।
তিন দপ্তরের কাজের পাশাপাশিও তিনি উপজেলার বিভিন্ন হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, গরীর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর পাশে সহোযোগিতার হাত বাড়ানো প্রতিদিনের রুটিনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে গাংনী উপজেলার ইউএনও প্রীতম সাহার।
রাত দিন এভাবেই তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। যেখানেই আইনের লঙ্ঘন সেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা তো রয়েছেই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন রোধ, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অবৈধভাবে মালামাল মজুদকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতোমধ্যে তিনি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। সৎসাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একজন মানুষ অনেক কিছু বদলে দিতে পারেন তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।
কথাবার্তায় মার্জিত ও আচরণে অত্যন্ত ভদ্র, সাদামাটা, সহজ-সরল স্বভাবের এই মানুষটি মাত্র এক বছর চার মাসে উপজেলা বাসীর মন জয় করে নিয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা, বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ প্রতিকারে আশ্রয়স্থলের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন ইউএনও প্রীতম সাহা। বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলো জমকালো এবং দৃষ্টিনন্দন করে পালন করার নজির সবার মুখে মুখে। উপজেলাজুড়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও তার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
তিনি যোগদানের পরে উপজেলা পরিষদের আবাসিক কোয়াটার গুলো বাসযোগ্য করে তোলা, অডিটোরিয়ামটিকে সংস্কার করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা, একাধিক নতুন ভবন নির্মাণ ও পুরানো বিল্ডিংয়ে রং করে নতুন রুপে সৌন্দর্যবর্ধন করা এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে প্রাচীর নির্মাণের কাজ করা, উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত পুকুর সংস্কার, মুক্তিযোদ্ধা ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা, হরিজন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষায় নকলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল অর্জনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তিনি নিজে ও শিক্ষক মন্ডলীদ্বারা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেয়া, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহের রোববারে ল্যাংগুয়েজ ক্লাব পরিচালনা, মঙ্গলবারে স্কাউটিং ও বৃহস্পতিবারে খেলাধুলা এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।
অনেক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহযোগিতা করে চলেছেন জনবান্ধব ইউএনও প্রীতম সাহা। দেশে ম্যারাথনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা প্রতিভাবান এথলেটকে এগিয়ে নিতে উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের অসহায় শিক্ষার্থী শিপন আহমেদকে প্রতি মাসে আর্থিক সহযোগিতা করে চলেছেন তিনি।
ইউএনও প্রীতম সাহার এ ব্যতিক্রম কর্মোদ্যম ও দায়িত্ববোধ এ উপজেলায় দিন দিন যোগ হচ্ছে উন্নয়নের নতুন মাত্রা। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। প্রতিটা দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ঐক্য ও মনোবল সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তারা সময়ের দিকে লক্ষ্য না করে সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজের প্রতি অধিক দায়িত্ববান হয়ে উঠেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাত অবধি দাপ্তরিক কাজ করলেও মুখে নেই কোন চিন্তার ভাঁজ।
গাংনী উপজেলা তাঁর উপস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। গাংনী উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর যেন চিন্তার শেষ নেই। তাঁর চিন্তার সফল বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার একাধিক মহলসহ জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের বিচক্ষণ ব্যক্তিরা।
গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল আলম সোনা জানান, একজন ইউএনও এতটা কাজপাগল ও জনপ্রিয় হতে পারেন তার উজ্জল দৃষ্টান্ত ইউএনও প্রীতম সাহা। সে কারণে এ এলাকার মানুষ তাঁকে আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন। তিনি সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চায়। তাঁর বিরুদ্ধে যদি কেউ কোন অভিযোগ উত্থাপন করে থাকে তাহলে আমি বলব সেটা সাজানো এবং হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা মাত্র। আমার দৃষ্টিতে তিনি একজন সৎ, যোগ্য, অভিজ্ঞ ও ভালো মানুষ। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে প্রায় চারশত শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। এক কথায় বলা যায় গাংনী উপজেলা বাসীর কল্যাণে ইউএনও প্রীতম সাহার গুরুত্ব অপারিসীম।
গাংনী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা ও সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্টের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে, তিনি একজন সৎ ও কর্মঠ মানুষ বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের মতো তিনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পালন করার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার মতো কোন কিছু আমার নজরে পড়েনি। তবে প্রায় দিনই রাত বারোটা পর্যন্ত কাজ করতে দেখেছি। গাংনী উপজেলা বাসির কল্যাণে তাঁর মত যোগ্য মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। আরো একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি, সরকারি নির্দেশনা গুলো তিনি খুবই আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করে তা সফল বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন।
সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের নির্বাহী পরিচালক ও গাংনী উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিটির সভাপতি আবু জাফর জানান, প্রাতিষ্ঠানিক কারণেই ইউএনও মহোদয়ের খুব কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। কখনো ব্যক্তিগত কাজ, কখনো সামাজিক আবার কখনো প্রাতিষ্ঠানিক কাজ নিয়ে আমি তাঁর কাছে গিয়েছি, উপস্থাপন ভঙ্গি অত্যন্ত চমৎকার। একটি নেগেটিভ মেসেজকে পজিটিভ আকারে নিয়ে আসার যোগ্যতা তাঁর রয়েছে। তিনি একজন ভালো বক্তাও বটে। গাংনী উপজেলা বাসি এমন একজন ইউএনওকে পাওয়া গর্বের বিষয়। তাঁর কাছে কোন কাজ নিয়ে গিয়ে কখনো নিরাশ হয়ে ফিরে আসি নাই। তাঁর একটা বড় মন রয়েছে যে কারণেই কিন্তু এমনটা সম্ভব হয়েছে। এমন একজন অফিসারকে যদি আমরা ধরে রাখতে পারি এবং তাঁর কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি তাহলে গাংনী উপজেলা বাসি উপকৃত হব। সর্বোপরি আমি গাংনী উপজেলার দুর্নীতি দমন কমিশনের সভাপতি হিসেবে বলবো বর্তমান গাংনী উপজেলার ইউএনও একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন মানুষ। একটি এনজিও ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ায় তাঁর সাথে অনেক কাজ করার সুযোগ হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে তাঁর কোন আর্থিক লেনদেন বা অসঙ্গতি আমার চোখে পড়ে নাই বা শুনি নাই। ফলে কথা বলা যায়, আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে তিনি খুবই পরিস্কার।
সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা কথাবার্তায় মার্জিত ও আচরণে অত্যন্ত ভদ্র এবং সৎ কাজ পাগল একজন মানুষ। গাংনী উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর তিনি তাঁর কর্মদক্ষতা দিয়ে সকল দপ্তর ও এলাকাবাসীর মন জয় করেছেন। অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে হয়ে উঠেছেন একজন মানবিক ইউএনও। তার সম্পর্কে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর সাথে যতদিন কাজ করেছি তিনি একজন সৎ ও স্বচ্ছ মানুষ। তাছাড়া আর্থিক ব্যয়গুলো প্রতিটি দপ্তরের আলাদা আলাদা বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে করা হয়। ফলে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তাঁর তেমন কোন সম্পৃক্ততা থাকে না। ফলে এধরনের কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে সেটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গাংনী মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ মহসিন আলী গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্পর্কে বলেন, নিঃসন্দেহে তিনি একজন ভালো মানুষ। আমি কয়েকটি বিষয় নিয়ে তার কাছে গিয়েছি। তিনি বিষয়টি খুব আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করে ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে এমপি, উপজেলা পরিষদ প্রশাসক, পৌর প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করছেন। একজন মানুষ এতগুলো দায়িত্ব পালন করার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে নেই কোন অভিযোগ। সরকারি দায়িত্ব পালন করতে তাঁকে প্রায় প্রতিদিনই রাত বারোটা পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও তার চেহারাটা সদা হাস্যোজ্জ্বল। ২০২৩ সালের উপজেলা পরিষদের কিছু অসংগতি তুলে ধরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের যে তীর ছোঁড়া হয়েছে। সে সকল দোষে তিনি দোষী নন। কেননা ওই সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এম এ খালেক।
গাংনী কেন্দ্রীয় পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি সুশান্ত কুমার পাত্র জানান, বর্তমান ইউএনও মহোদয় যোগদানের পর দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাম্যনীতি অনুসরণ করে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করে এলাকাবাসীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। তিনি গরিব অসহায় পা ফাটা মানুষের আশ্রয়স্থল। উপজেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও চলাফেরা খুবই সাদামাটা। ভীষণ রকমের কাজপাগল একজন সৎ ও কর্মঠ মানুষ তিনি। আমার মতে ইউএনও প্রীতম সাহা গাংনী উপজেলা বাসির জন্য আশীর্বাদ।
গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন শাওন জানান, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে খুব কাছ থেকে দেখা ও বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময়ের সৌভাগ্য হয়েছে । তিনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। দাপ্তরিক কাজের বিষয়ে তিনি অত্যন্ত আন্তরিক। ইউএনও প্রীতম সাহা মহোদয়কে আমি যতদূর চিনি, তিনি একজন সৎ ও নির্লোভ মানুষ।
উপজেলা স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নূরানী জানান, সম্মানিত ইউএনও মহোদয়ের গুন ও মানবিকতার কথা বলে শেষ করা কঠিন। প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১২ বছরের শিক্ষকতায় এমন মানবিক ইউএনও দেখি নাই। তিনি দল মত নির্বিশেষে মানুষের সেবায় নিবেদিত প্রাণ। সততা ও নিষ্ঠায় তার জুড়ি মিলা ভার। তিনি যখন বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সততা ও সঠিকতার জায়গা থেকে বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম ঘটতে দেখি নাই। কাউকে বিপদে ঠেলে দিয়ে পিছপা হতে দেখি নাই। তাঁর বলার সাথে কাজের কোন অসঙ্গতি দেখি নাই। শত বাধা আসলেও তিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে পিছপা হন না। আমার জানামতে, এমন মানব দরদী ইউএনও আমার জানামতে ইতোপূর্বে গাংনীতে আসে নাই। আমি তাঁর মঙ্গল কামনা করি।
এ বিষয়ে ইউএনও প্রীতম সাহা বলেন, আমি কাজে বিশ্বাসী সৎ ভাবে থাকতে চাই। আমার ওপর অর্পিত সকল দপ্তরের সরকারি নির্দেশনা সফলভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি। কোন সমস্যা মনে হলে আমার কাছে আসুন ভুল ত্রুটি দেখিয়ে দেন আমি সকলের সহযোগিতায় সমাধান করার চেষ্টা করব। সমাজে কিছু মানুষ থাকবেই যারা গুজব সৃষ্টি করে কর্মস্পৃহাকে দমিয়ে দিতে চেষ্টা করবে। গুজবে কান না দিয়ে সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রীতম সাহা ২০১৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি তথ্য বিভাগে মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি ৩৫তম বিসিএসে অংশ নিয়ে ২০১৭ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়ে যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালের ২৭ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা এবং ২০২১ সালের ৮ আগষ্ট দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে যোগ দেন। সেখানে কর্মরত অবস্থায় রাজস্ব ও ভূমি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাচিত হন।
পরে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগদানের পর মাসিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বেশিরভাগ মাসেই তাঁর অগ্রগতি শীর্ষে রয়েছে। তাছাড়া সারা দেশের জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে ২০২৪ সালে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন তিনি।