১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অ্যব অনার প্রদানকারী আনছার সদস্য হামিদুল ইসলাম (৮২) মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গেল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত, অ্যাজমাসহ নানা জটিল রোগে ভূগছিলেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সোনাপুর ঈদগাহ ময়দানে তাঁর কফিনে জাতীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস ও ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অ্যব অনার প্রদানকারী অন্য দুই আনছার সদস্য আজিমদ্দিন শেখ ও সিরাজুল ইসলাম।
পরে পুলিশের একটি চৌকশ দল হামিদুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অ্যাব অনার প্রদান করেন।
গার্ড অ্যাব অনার প্রদান শেষে আনসার ভিডিবি’র পক্ষ থেকে মরহুমের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এরপর মরহুমের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযায় স্থানীয় মুসল্লিরা ছাড়াও জেলার সরকারী- বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের
কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাযা শেষে সোনাপুর গ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ৪ মেয়ে, নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
এ সময় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ১৪ আনসার ব্যাটালিয়ান চুয়াডাঙ্গার পরিচালক তরফদার আলমগীর হোসেন, মেহেরপুর জেলা কমান্ড্যান্ট সাহদাত হোসেন, সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্বসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের তৎকালীন বদ্যনাথতলা আজকের মুজিবনগর আম্রকাননে মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অ্যব অনার প্রদান করেন ১২ জন আনছার সদস্য। হামিদুল ইসলাম ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। এ পর্যন্ত ১০ জন আনছার সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। বেঁচে রয়েছে আজিমুদ্দীন শেখ ও সিরাজুল ইসলাম নামের আরো দুই আনছার সদস্য।
এদিকে হামিদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জেলার বিভিন্ন সংগঠন।