মেহেরপুরের গাংনী পৌর এলাকার পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের একটি পুকুরে দুর্বৃত্তদের ঢালা বিষের প্রভাবে প্রায় ৭ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন মাছ চাষী মিনারুল ইসলাম (৩৫)। মিনারুল ইসলাম পৌরসভাধীন পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের বানিয়াপাড়ার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।

মাছ চাষী মিনারুল ইসলাম জানান, “১৪-১৫ বছর আগে তিনি তখন বয়সে কিশোর। জমি সংক্রান্ত বিরোধে তার পিতা নিহত হন। তার পর থেকে আড়াই বিঘা জমির মধ্যে ২ বিঘা জলকরের এই পুকুরটিতে মাছ চাষ করে আসছেন। পুকুরে রুই, কাতলা, সিলভার, বাটা, ব্লাক কার্প, তেলাপিয়া, পুঁটিসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করা হয়েছে। মাছ চাষে ধার-দেনা করে প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা ইতোমধ্যেই বিনিয়োগ করেছেন। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো। অথচ দুর্বৃত্তদের ঢালা বিষ ক্রিয়ার প্রভাবে পুকুরের প্রায় ৭ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এ ঘটনায় আত্মীয় -স্বজনদের সাথে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।

গাংনী পৌর এলাকার ৫ নম্বর সাবেক কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে যারা লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভাসিয়ে দিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে ক্ষতিপূরণ আদায়সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকলেও এ ধরনের নেককারজনক ঘটনা কারো ঘটনো উচিত নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গাংনী মৎস্য অফিসের ক্ষেত্রসহকারি পলাশ কুমার সেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা। পানি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, PH, NH3, TDS এবং Temperature সকল সূচক ঠিক রয়েছে। বিষ ক্রিয়া নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভুক্তভোগী মাছ চাষীকে ঢাকা মহাখালী পানি পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার দাস জানান, এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।