মেহেরপুরের গাংনীতে সবুজ হোসেন সাদ্দাম (৩৮) নামের এক ব্যক্তির নগদ টাকা ও মোটরসাইকেল ডাকাতির মামলায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের আরো দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (২০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পৌর এলাকার কাথুলী মোড় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার নওপাড়া গ্রামের ব্রিজপাড়ার কাবরান আলীর ছেলে বেল্টু আলী (৩৫) ও একই গ্রামের মাঠপাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে খোকন আলী ওরফে বুদু (৪৫)।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক শনিবার (২০ মে) রাত সোয়া ৮ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সবুজ হোসেন সাদ্দাম (৩৮) নামের এক ব্যক্তির নগদ টাকা ও মোটরসাইকেল ডাকাতির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় শনিবার (২০ মে) আন্তঃজেলা ডাকাতদলের আরো দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনিয়ে ডাকাতির ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো। আগামীকাল রোববার (২১ মে) সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল (শনিবার) রাত পৌনে ১০ টার দিকে সাহারবাটি থেকে গাঁড়াডোব বাজারে যাওয়ার পথে ভাঙ্গাপাড়া মাঠ নামক স্থানে পৌঁছালে একদল ডাকাত তাদের গতিরোধ করে তাদের হাত পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরুদন্ডে কুপিয়ে আহত করে মোটরসাইকেল নগদ টাকা মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সবুজ হোসেন সাদ্দাম বাদী হয়ে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ৮, তারিখ ০৯/০৪/২০২৩ ইং, ধারা ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড এর (ডাকাতি মামলা)।
মামলার পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিল।
১১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর মধ্যপাড়ার রব্বান মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৮), মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মৃত ফকির মন্ডলের ছেলে মোহাম্মদ নাজির হোসেন (৫৩) ও সাহারবাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে দুলাল আলী (৩৫) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
ওই দিন দুপুরে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার রাফিউল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওই সময় ডাকাতি হওয়া মোটরসাইকেল ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, মাদক, চুরি, জখম ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।