মেহেরপুরের গাংনীতে এক নববধূ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, গলায় ফাঁসের খবরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই নববধূর প্রেমিকও। সোমবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের ব্রজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নববধূর নাম রুবিনা খাতুন (১৮)। রুবিনা খাতুন ব্রজপুর গ্রামের ঈদগাহ পাড়ার ওবিরুল ইসলামের মেয়ে। ওই নববধূর প্রেমিকের নাম রিঙ্কু (২১)। রিঙ্কু উপজেলার বামন্দি ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের ফইমউদ্দিন ওরফে ফনি আলীর ছেলে।
ভবানীপুর ক্যাম্প ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার সকালে উপজেলার ব্রজপুর গ্রামে এক নববধূর গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। নববধূর সূরাতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এবং তদন্ত শেষ হওয়ার পর এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন হবে। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলা নাম্বার ২৮, তারিখঃ ০৩ জুলাই ২০২৩ ইং।
স্থানীয় তারেক জানান, ঈদের আগের দিন রুবিনা খাতুনের বিয়ে হয় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নাটনাপাড়া গ্রামের সৈকত আলীর ছেলে সবুজের সাথে। ঈদের পরের দিন স্বামী সবুজসহ রুবিনা খাতুন মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার (০৩ জুলাই) সকালে বসতঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। রুবিনা খাতুনের গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের রিঙ্কু নামক একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার সাথে বিয়ে না হওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে রুবিনার গলায় ফাঁস নেওয়ার কথা শুনে তার প্রেমিক রিঙ্কু বিষপান করে ব্রজপুর গ্রামের উপস্থিত হয়। পরে তার পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রুবিনা খাতুনের মা সুমাইয়া খাতুন বলেন, আমার মেয়ে আজ সকালে হঠাৎ করে আত্মহত্যা করেছে। কিভাবে কি হয়েছে আমি কিছুই জানিনা।
এ প্রসঙ্গে গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত সত্য জানা যাবে।