ডিউটি শেষে মেহেরপুরের গাংনী থানাধীন এলাঙ্গী ক্যাম্পের আবু শাহেদ (৩৫) নামের এক পুলিশ সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্য হয়েছে। (ব্যাচ নম্বর ৭১৬)। রোববার (০৪ জুন) উপজেলার এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। মৃত পুলিশ সদস্য আবু শাহেদ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। কি কারনে এমনটি ঘটেছে তা জানে না তার রুমমেট ও সহকারী অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার রাফিউল আলম।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মারুফ হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষাক্ত কোন কিছুর বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আবু শাহেদ এর মামা চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন হাটবোয়ালিয়া শাখার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আলী হায়দার জানান, শুনেছি আজ সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সে সেন্ট্রি ডিউটিতে ছিল। এমনকি ঘটে গেল যে আধা ঘন্টার মধ্যেই নাক মুখ দিয়ে সাদা জাতীয় ফেনা বের হয়ে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। পরিবারের লোকজন না আসা পর্যন্ত মরদেহ গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে হস্তান্তর না করার জন্য তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আবু শাহেদের রুমমেট এলাঙ্গী ক্যাম্পের নায়েক পিয়াস জানান, রোববার (০৪ জুন) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে আবু সাহেদকে উঠে ডিউটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হতে দেখেছি। আমি নামাজ পড়ে এসে ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে শাহেদের নাক মুখ দিয়ে সাদা রংয়ের ফেনা বের হতে দেখি। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্পের আইসি সুফল স্যারকে জানাই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আবু শাহেদকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার রাফিউল আলম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, আবু শাহেদের মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।