মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের নাহারুল ইসলাম (৫০) নামে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৫ নম্বর পলাতক আসামী মহিবুল হককে গ্রেফতার করেছে মেহেরপুর সিপিসি-৩ র্যাব-১২ ও গোপালগঞ্জ ভাটিয়াপাড়া সদর কোম্পানী র্যাব ৬ যৌথ টিমের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানাধীন বেসপুর ২০ শয্যা হাসপাতালের নার্স কোয়ার্টারে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামী মহিবুল হক (৬০) কে গ্রেফতার করা হয়। মহিবুল হক উপজেলার বাওট গ্রামের মৃত মওলা বক্সের ছেলে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কমান্ডার আশরাফউল্লাহ পিপিএম মেহেরপুর সিপিসি-৩ র্যাব-১২ শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুর পৌনে তিন টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন বাওট গ্রামে নাহারুল ইসলাম (৫০) এর সাথে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের দীর্ঘদিন যাবত সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই সূত্র ধরে গত ০৬/০৮/২৪ খ্রিঃ রাত ৯টার দিকে এজাহারনামীয় আসামীগণ নাহারুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং নিহতের দুই ছেলের হাত কুপিয়ে জখম করে।
এ হামলা ও হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে বাওট গ্রামের মাওলা বক্সের ছেলে আব্দুল হামিদকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে গাংনী থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ৮ তারিখঃ ০৭/০৮/২০২৪ ইং
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মেহেরপুর জেলায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর হতে র্যাব এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা নজরদারীসহ গ্রেফতারের কাজ শুরু করেন। যার ফলশ্রুতিতে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) র্যাবের যৌথ টিম সকাল ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানাধীন বেসপুর ২০ শয্যা হাসপাতালের নার্স কোয়ার্টারে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামী মহিবুল হক (৬০) কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।