মেহেরপুরের গাংনীতে একটি জমির দখল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের বাদিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ক্রয় সূত্রে মালিক জমির দখলকে কেন্দ্র করে কাজিপুর গ্রামের বাদিয়াপাড়া এলাকার কুবলুজ্জামান ও জাকির হোসেন পক্ষদ্বয় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের ভবানীপুর ক্যাম্পের এএসআই তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রথম পক্ষ কুবলুজ্জামান জানান, তার ফুফু আয়শা খাতুন তার অংশ মোতাবেক ১৩ শতক জমির মধ্য থেকে সোয়া ৮ শতক জমি ১৬ লক্ষ টাকা মূল্যে স্থানীয় জাকির হোসেনের ছেলে প্রবাসী সাইদুল ইসলামের নিকট বিক্রি করেন। উক্ত জমি ক্রয়ের পর সাইদুল ইসলাম খারিজ- খাজনা করে নিজ নাম পত্তন করেন। তার ফুফু তাদেরকে না জানিয়ে অন্য ব্যক্তির কাছে জমি বিক্রি করায় কুবলুজ্জামান উক্ত জমি ওয়ারিশ দাবি করে জমি ফেরত পেতে আসল টাকাসহ ২৫% ক্ষতিপূরণ ও ৮% সুদসহ সর্বমোট ২০ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে আদালতে জমা করেন। এ সংবাদ পেয়ে জাকির হোসেন তার ক্রয়কৃত জমিতে তাড়াহুড়া করে টেনশেডের দুটি ঘর, একটি টিউবওয়েল ও পাটকাঠির বেড়া দিয়ে সীমানাটা ঘিরে ফেলে। এ বিষয়ে তাকে নিষেধ করা হলে আমাকে ও আমার পরিবারের উপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ জাকির হোসেন এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আয়শা খাতুনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে নিজ নামের নামপত্তন শেষে উক্ত জমিতে প্রায় ১ মাস পূর্বে টিউবওয়েল স্থাপনসহ দুটি টিনশেডের ঘর তৈরি করে পাটকাঠি ও তারের বেড়া দিয়ে বসবাস শুরু করি। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে কুবলুজ্জামান আমার সীমানা বেড়া ভেঙে আমাকে ও লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে। সংবাদ পেয়ে ভবানীপুর ক্যাম্পের এএসআই তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনায় জাকির হোসেন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই তরিকুল ইসলাম জানান, দু’পক্ষের মারামারির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জাকির হোসেন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।