মেহেরপুরের গাংনীতে অভিযান চালিয়ে হানিফ ও আনারুল নামে দুই সুদের কারবারিকে আটক এবং ব্লাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় সুদ কারবারের কাজে ব্যবহৃত তিন শতাধিক ব্লাঙ্ক চেক, দুই শতাধিক সাদা স্ট্যাম্প, ৫টি মোটর সাইকেল ও ১৩ টি রেজিষ্টার জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড দন্ডবিধিতে মামলা হয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ঘন্টা ব্যাপী অভিযানের পর নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- গাংনী পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ড উত্তরপাড়া এলাকার সমির আলীর ছেলে আবু হানিফ (৪০) ও একই এলাকার মৃত ইউনুস আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৫৫)।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মানুষের অভাব-অনটনকে পুঁজি করে মেহেরপুরের গাংনীতে বেড়েছে চক্রবৃদ্ধির মহাজনী সুদের কারবার। তাদের কাছ থেকে লাখ টাকার বিপরীতে সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার সুদ টানতে হয়। দিতে হয় চক্রবৃদ্ধির সুদও। প্রভাবশালী মহাজনী কারবারিরা টাকা দেওয়ার সময় ব্লাঙ্ক চেক ও স্টাম্প স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। ফলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে না ভুক্তভোগীরা।
তিনি আরও বলেন, সুদের চাপে পড়ে অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে, কেউ কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে, আবার অনেকে ভিটেবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। ব্ল্যাংক চেক ডিজঅনার করিয়ে একাধিক ব্যক্তির নামে চলছে উচ্চ আদালতে মামলা। ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত চালিয়ে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে।
অভিযানে ৩২০ পিস ব্ল্যাংক চেক, ৬৭৯ পিস নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, জিম্মায় রাখা ৫টি মোটরসাইকেল, সুদের হিসাব-নিকাশ রাখা ১৩টি রেজিস্টার ও ৫টি চেক ডিজ অনারের কাগজ ও ১টি সোনার চেইন উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে পেনাল কোড দন্ডবিধিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার (১২ মার্চ) আদালতে প্রেরণ করা হবে। মামলা নম্বর-১৪. ধারা ৪০৬, ৪২০’ ৪২২, ৪২৩ ও ৪২৪ তারিখঃ ১১/০৩/২০২৩ ইং