মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আপন মামা বিল্লাল হোসেনকে ফাঁসানোর জন্য নিজের ঘর নিজেরাই ভেঙ্গে মামলা করার হুমকি ধমকি দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ভাগ্নে মোহন আলীর ওপর। গত বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫ টায় দিকে উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের ভিটাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় অভিযুক্ত মোহন আলী কল্যাণপুর গ্রামের ভিটাপাড়ার মজনু আলীর ছেলে।
বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন- আমার বোন মাবিয়ারা ১ শতাংশ জমির মালিক। সেই জমিতে সন্তান-সন্ততি নিয়ে বসবাস করে আসছে। তবে আমার বোনের ছেলে মোহন আলী মাদকের সাথে সম্পৃক্ত। আমার বোন তাকে মাদক ছেড়ে দিতে বললে সে মাদক ছাড়বে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মোহন আলী নিজেই ঘরের টিনের চালা ভেঙে অন্যত্র নিয়ে যায়। সে নিজে নিজে টিনের চালা ভেঙে আমার বা আমার আত্মীয়স্বজনের ওপর মিথ্যা দোষারোপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে যা আদৌ সত্য নয়। তাছাড়া শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত নয়টার দিকে বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে আমার বাড়ির গেটে পাটকেল মেরে আমাকে বাইরে আসার জন্য হুমকি ধামকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোহন আলীসহ একাধিক ব্যক্তির নামে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় মোহন আলীর সহোদর বোন কল্পনা খাতুন জানান। আমার ভাই মাদকাসক্ত। তার নামে এখনো একাধিক মাদক মামলা চলমান রয়েছে। আমার মামারা ভালো মানুষ, তাই আমাদেরকে দেখভাল করে রাখেন। পিতার অবর্তমানে আমার মামারা উদ্যোগ নিয়ে আমার মাকে অন্যত্র বিবাহ দিয়ে সংসার পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অথচ নিজে নিজেই ঘরের টিন খুলে নিয়ে আমার ভাই মোহন আলী উল্টা মামাদের নামে মামলা করার হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে। মামারা ঘরের টিম খুলে ফেলেছে কথাটি আদৌও সত্য না।
কল্যাণপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ইন্তাজুল হক জানান, মোহন আলী একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তার সাথে এলাকার কিছু লোকজন জড়িত রয়েছে। তাই তারা তাকে দিয়ে তার মামা বিল্লাল হোসেনসহ কিছু ভালো মানুষকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। ঘর ভেঙে ফেলার বিষয়টি আদৌ সত্য নয়। সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত ভাগ্নে মোহন আলীর এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের পিরু মন্ডলের ছেলে বিল্লাল হোসেন সম্পর্কে তার মামা। গত বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে তাকে বিল্লাল হোসেনের তামাকের ঘরে কাজ করার জন্য বলেন। মোহন আলী অন্য কারো কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছে ফলে মামা বিল্লাল হোসেনের কাজ করবে না বলে জানান। এরপর পরপরই বিল্লাল হোসেন তাকে চড় থাপ্পড় মেরে আহত করে। কিছু সময় পর বিল্লাল, রহিদুল, শাহীন, জুয়েল, শিমুল, মহিবুল ও ইন্তাজ আলীসহ একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল তাকে মারধর করে তারসহ মায়ের বসতবাড়ির টিনের চাল ভেঙ্গে দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারপর থেকেই সে গোরস্থানের পাশে পৈতৃক সম্পত্তিতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। এই ঘটনার পর মামা বিল্লাল হোসেন উল্টা তাকেসহ প্রায় ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে মোহন আলী আইনের আশ্রয় নেবে বলেও জানান।