মেহেরপুরের গাংনীতে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আলমগীর হোসেন (৩৫) এর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারী) উপজেলার শহড়াবাড়িয়া-কামারখালী মাঠের কাঁচা রাস্তার ডান পাশের একটি ড্রেনের মধ্যে থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আলমগীর হোসেন এক নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও সদ্য প্রবাস ফেরত এবং গাংনী পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড বাঁশবাড়িয়া বাজার পাড়ার মইনুদ্দিনের মেজো ছেলে।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাইল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই আলামিন হোসেন জানান, দুই মাস আগে তার মেজ ভাই আলমগীর হোসেন দুবাই থেকে বাড়িতে ফিরেছে। সে গাংনী পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হয় এবং রাত দশটার মধ্যে আবারও বাড়িতে ফিরে আসে। গতকাল বুধবার (০১ জানুয়ারী) সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। দেরী দেখে মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে বিষয়টি আত্মীয়-স্বজন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার সহড়াবাড়িয়া এলাকায় একটি গলাকাটা লাশ পড়ে আছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার মেজ ভাইয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে।
তিনি আরোও জানান, তার মেজ ভাই একটা সাদামাটা, সহজ-সরল মানুষ। জানামতে তার কোন শত্রু নাই।
সংবাদ পেয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন, ডিবি ওসি গোপাল কুমারসহ পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাবেদ মাসুদ মিল্টন জানান, গাংনী পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতিকে যারা নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করেছে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বাণী ইসরাইল জানান, উপজেলার সহড়াবাড়িয়া – কামারখালী কাঁচা রাস্তার পাশে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ পড়ে আছে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়টি এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মাঠে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।