মেহেরপুরের গাংনীতে ধর্ষণের অভিযোগে সাকিল ইসলাম (২৩) কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের পাট ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। শাকিল উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার পাড়ার আব্দাল হকের ছেলে।
সোমবার (১৬ জুন) বিকেল চারটার দিকে পুলিশ হেফাজতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারুক হোসেন শাকিলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। চিকিৎসা শেষে তাকে থানায় প্রেরণ করা হয়।
মেয়ের পিতা জানান, সোমবার (১৬ জুন) ভোর বেলায় বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নিজের ধান ক্ষেতে কাজ করার জন্য বেরিয়ে যান। সকাল দশটার দিকে তার স্ত্রী পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে দিয়ে মাঠে খাবার পাঠায়। প্রায় এক কিলোমিটার যাওয়ার পর মুকুল হোসেনের পাট ক্ষেতের পাশাপাশি পৌঁছালে ঘাস কাটতে কাটতে উঠে এসে তার মেয়েকে টেনে হিচড়ে পাটের মধ্যে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়। মেয়ে তার আব্বার কাছে গিয়ে সব কথা বলে দিলে তিনি কালক্ষেপণ না করে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ছেলের বাড়িতে গিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
গাংগী থানা অফিসার ইনচার্জ বাণী ইসরাইল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় গাংনীর চাঁদপুর গ্রাম থেকে শাকিল নামের এক ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।