মেহেরপুরের গাংনীতে আশা এনজিও’র বাবুর্চি হৃদয়ের ৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি। উপজেলার বাওট ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হৃদয়কে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে মামলা না করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা চাপ দিচ্ছেন বলেও জানান নিখোঁজ হৃদয় আলীর পরিবার।
গত ২ অক্টোবর সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে আশা এনজিও অফিসের হৃদয়ের শয়ন কক্ষে তার পরিহিত টি-শার্ট, রক্ত মাখা বটি ও পুরো মেঝেতে রক্ত ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সে সময় থেকে হৃদয় নিখোঁজ রয়েছে। ওই দিনই আশা বাওট ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আমিনুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
‘হৃদয়কে খুজে দেওয়া হবে’ বিভিন্ন জনের এমন প্রতিশ্রতিতে মামলা না করতে চাপ দেওয়া হয় হৃদয়ের পরিবারকে। পরে ৪ অক্টোবর গাংনী থাানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন হৃদয়ের মা আক্তার বানু।
নিখোঁজ হৃদয় আলী গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের হাওড়াপাড়ার মিন্টু আলীর ছেলে। সে প্রায় ৮ বছর ধরে আশা অফিসের বাওট শাখায় বাবুর্চির কাজ করাসহ শুক্র ও শনিবার রাতে অফিস পাহারা দিত।
ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ হৃদয়ের হদিস মেলেনি। হৃদয়কে ফিরে পাওয়ার দাবিতে ৫ অক্টোবর দুপুর ১টার সময় মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন হৃদয়ের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে হৃদয়ের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা গরীব বলে থানায় অভিযোগ দিয়েও বিপদে পড়ে গেছি। নিখোঁজ হৃদয়কে খুঁজে দিতে পুলিশ উল্টো আমাদেরকেই হুমকি দিচ্ছেন। থানায় বিচার চাইতে গেলে ওসির কক্ষে বসে থাকা আশার বড় বড় কর্মকর্তারা আমাকে ওসির সামনে হেনস্তা করতেও তাদের দ্বিধা করেনি। হৃদয় জীবিত থাকলে তার সন্ধান অথবা মারা গেলে লাশটা অন্তত এনে দেওয়া হোক বলে দাবি করেন নিখোঁজ হৃদয়ের পরিবার।
নিখোঁজ হৃদয়ের স্ত্রী কনা জানান, বাওট ব্রাঞ্চের মানেজার আমিনুল এর সাথে ওই অফিসে কর্মরত এক মহিলা কর্মীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ছিল হৃদয়ের মোবাইলে। এটা জানার পর থেকে ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি- ধামকি দিয়ে আসছিল।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হৃদয়কে উদ্ধারের সব চেষ্টা অব্যাহত আছে। তাকে খুঁজে পেলে সব জটলার অবসান ঘটবে।