মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ একেএম শফিকুল আলম জামিন পেয়েছেন। বি আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ঈমান মনজুরুল হাসান তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে অ্যাড. মিয়াজান আলী, ইয়ারুল ইসলাম, খন্দকার আব্দুল মতিন, এসএম ইব্রাহিম শাহীন, শাহরিয়ার মাহমুদ শাওন, আহসান হাবীব, রাকিবুল ইসলাম রুবেল, আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল, রাশেদুল হক জুয়েল, সাথী বোস, রুতশোভা মন্ডলসহ প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন আইনজীবী মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একেএম শফিকুল আলমের জামিন আবেদন করেন। মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ঈমান মনজুরুল হাসান শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ০৫ আগস্ট ইংরেজি তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আ.লীগ সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি এবং ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপ করার জন্য আটক হওয়া আসামীরা আ.লীগ সমর্থিত লোকজন নিয়ে নিজ নিজ বাসায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করছে এবং আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টা ৩৫ মিনিটে কোম্পানী কমান্ডার, সিপিসি-৩, র্যাব ১২ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে গাংনী পৌর এলাকার তিন নম্বর ওয়ার্ড গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজ পাড়া হতে মেহেরপুর জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ একেএম শফিকুল আলমকে আটক করেন। অ্যাডঃ একেএম শফিকুল আলম চৌগাছা সরকারি কলেজ পাড়ার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
একই তারিখ রাত ২টা ১৫ মিনিটের সময় গাংনী থানা রোডের নিজ বাড়ি থেকে মেহেরপুর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক (৫৯) কে আটক করেন। এম এ খালেক গাংনী পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মোজাহার আলী বিশ্বাসের ছেলে।
আটকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নং-১১, তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২৪ সন্ত্রাস বিরোধী দমন আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) ধারা ৬(২)/১০/১১/১২/১৩ মূলে গ্রেফতার দেখিয়ে গাংনী থানার মাধ্যমে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।