নির্বাচন পরর্বতীতে সহিংসতায় দুই পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে দুই মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- পাকুড়িয়া গ্রামের আত্তাব উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৫) সহোদর দুলাল হোসেন (২৫), নইমদ্দিনের ছেলে আত্তাব উদ্দিন (৬০) সহোদর মিন্নাল হোসেন (৫০), আব্দুস ছাত্তার (৫৫)। দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬৫), তার ছেলে ইমাদুল হক (৩৫) সেই সাথে নুহু (২৫) ও নয়ন (২৪) আহত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৮ নভেম্বর গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের (পাকুড়িয়া) গ্রামের মেম্বার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন নির্বাচনে বিজয়ী হন। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম রাগে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। রাগান্তিত হয়ে প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেনের কর্মী সমর্থকদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিজান দুলালকে আত্তাব উদ্দিনের বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে বকাবকি ও বাকবিতন্ডা শুরু করেন। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৮ জন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশীষ কাপুড়িয়া তাদেরকে চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।