শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
ঘোষণা
গাংনীতে বসত বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই, ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি মেহেরপুরে পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠেছে মাংস সমিতি  জমিতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো, কৃষকের মাথায় হাত! গাংনীতে হোমিও চিকিৎসক আটক; সহস্রাধিক বোতল অ্যালকোহল উদ্ধার কিশোরগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক এমপিকে মেহেরপুর থেকে গ্রেফতার  গাংনীতে মোটরসাইকেল ও আলগামনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান, পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা গাংনীতে চার ইটভাটায় ৯ লাখ টাকা অর্থদণ্ড গাংনীতে মেয়ের ধ*র্ষ*ণ মামলায় পিতা গ্রেফতার মেহেরপুরে ধর্ষণ মামলার আসামিকে পুনঃ গ্রেফতার ও তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করার দাবিতে থানা ঘেরাও 

বিকাশ প্রতারক চক্রের ফাঁদে গাংনীর বিকাশ এজেন্ট ফরিদ উদ্দিন

তোফায়েল হোসেন
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২০৫ বার পঠিত

বিকাশ প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছেন ফরিদ উদ্দিন নামের এক বিকাশের এজেন্ট। সোমবার (২২ জানুয়ারী) মেহেরপুরের গাংনী বাজারস্থ রোজমেরি মোবাইল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ফরিদ উদ্দিন গাংনী পৌর এলাকার সাত নম্বর ওয়ার্ডের সজরুল ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গাংনী বাজারস্থ রোজমেরী মোবাইল সেন্টারে বিকাশের এজেন্ট নাম্বার থেকে পুলিশের এসপি পরিচয় দেওয়া প্রতারকের দুইটি নাম্বারে ৪৫ হাজার টাকা পাঠান বিকাশ এজেন্ট ফরিদ উদ্দিন। এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতারণা করে যেসব নাম্বারে টাকা নেওয়া হয়েছে সেই নাম্বারগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

ঘটনার বিবরণে বিকাশের এজেন্ট ফরিদ উদ্দিন জানান, সোমবার (২২ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে হাজী রিয়াজ উদ্দিন মার্কেটের একাংশের মালিক ও হোটেল ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম তার বিকাশ সেন্টারে এসে বলেন মেহেরপুর এসপি অফিসের হাবিব নামে এক অফিসার বিকাশে ২০ হাজার ৫০০ টাকা পাঠিয়েছেন ওই টাকা তার নির্দেশিত দুইটি নাম্বারে পাঠিয়ে দাও। ফরিদ উদ্দিন দুইটা নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দেয়। তার কিছুক্ষণ পর এসপি অফিসের পরিচয় দানকারী কর্মকর্তা ফোন করে তার বিকাশের মোবাইলে আবারো ২৪ হাজার ৫০০ টাকা পাঠানো হয়েছে সে টাকাগুলোও তার দেয়া নাম্বারে পাঠাতে বলেন। দোকানদার সে নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফোন দিয়ে নাম্বারটি বন্ধ পান। তার সন্দেহ হয়। সে তার ব্যালেন্স চেক করে দেখে তার কাছে ভুয়া মেসেজ এসেছে। এ বিষয়ে তিনি মার্কেট মালিক ও হোটেল ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলামকে দায়ী করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিকাশের এজেন্ট ও হোটেল ব্যবসায়ী দুজনেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

এভাবে ৪৫ হাজার টাকা পাঠানোর পর যখন তার সন্দেহ হয় তখন তিনি যেসব নাম্বারে কথা বলেছিলেন সেই নাম্বারগুলোতে আবারো কথা বলার চেষ্টা করে বন্ধ পান । তখন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারক চক্রের হাতে পড়েছেন। তখন তিনি হামিদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে গাংনী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

একই মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতারণার সাথে হোটেল ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলামের কোন সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এ বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) গাংনী বাজার কমিটি সভা আহ্বান করা হলে সেখানে হামিদুল ইসলামের পক্ষে অন্য ভাইদের অনুপস্থিতির বিষয়টিকে ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের।

গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন শাওন জানান, প্রতারক চক্রের নিকট থেকে টাকাগুলো উদ্ধারে পুলিশের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সাথে বিকাশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এজেন্টদের আরো সতর্কতার সাথে ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 gangnisongbad.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
ThemesBazar-Jowfhowo