মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রাম থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন না থাকা, অন্য চিকিৎসকের বিএমডিসির নিবন্ধন ব্যবহার করা, এমবিবিএস চিকিৎসক না হয়েও দিব্যি চোখের ছানিপড়া থেকে শুরু করে চোখের জটিল চিকিৎসা প্রদান করাসহ নিজেকে চিকিৎসক পরিচয়ে চিকিৎসা প্রতারণার দায়ে তাফহিমুল হুছাইন (৫৮) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সাথে ভুয়া চিকিৎসকের সহযোগী সাগর আলী (২৩) কে এক মাসের কারাদন্ড ও গাড়ি চালক ইমন (২৫) কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসক তাফহিমুল হুসাইন ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রাামের মনিরুজ্জামানের ছেলে। তার সহকারী সাগর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের ইয়ারুল ইসলামের ছেলে ও গাড়ি চালক ইমন একই উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ মন্ডল ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাদেরকে এ দন্ডাদেশ দেন। তিনি জানান মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং করে চোখের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন ভুয়া চিকিৎসক তাফহিমুল হুসাইন। আজ হামিদুল ইসলাম প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র নামে যতারপুরে চক্ষু চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প করে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন তাফহিমুল হোসাইন। সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।তিনি যে একজন চিকিৎসক সেটা প্রমান করার মতো কোনো সনদ তার কাছে নাই। তিনি চক্ষু চিকিৎসার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাছাড়া তিনি ইতোপূর্বে বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের প্রতারণা করেছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তাফহিমুল হুসাইন তার দোষ স্বীকার করায় তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে তার সহযোগী সাগরকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং গাড়ি চালক ইমনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার সুপ্রিয়া গুপ্ত ও থানা পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করেন।