প্রায় ১০ বৎসর আগে একই এলাকার মৃত জলিল হোসেনের ছেলে আমিরুল ইসলাম ও মৃত জীবন আলীর ছেলে হাসেমকে ২৪ কাঠা জমি বর্গা দেয়া হয়। গত দুই মাস আগে স্থানীয় ভূমি অফিসে ওই জমির খাজনা দিতে গেলে তারা জানতে পারে একই গ্রামের মহন আলী, মনোরদ্দিন, বদরুল আলম ভাদু, পতন আলী ৮৪ শতক জমির মধ্যে ৪২ শতক জমি খারিজ করেছে।
জাহাঙ্গীর হোসেনের ৮৪ শতক জমি একই গ্রামের মহনের ছেলে আশাদুল, সোনাতনের ছেলে আজগোর, তাহের, হযরতের ছেলে লিটন হোসেন, মৃত আইবের ছেলে মজনু, রফিকের ছেলে শফি, দুলাল হোসেনের ছেলে শাহার, মৃত জানবারের ছেলে খলিলুর, হযরত, সোনাতন সকলে পটলক্ষেত কেটে দিয়ে জমি দখল নেওয়ার পাঁয়তারা করে।
খাজনা দিতে গিয়ে জাহাঙ্গীর গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলমের বরাবর খারিজ বাতিলের একটি আবেদনের বিষয়ে জানতে পারেন। আবেদনের পেক্ষিতে গত ০৪ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০ টার সময় ভূমি অফিসে হাজির হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন রের্কডীয় মালিক জকিরন বিবির নিকিট থেকে ক্রয়কৃত দলিলসহ অন্যন কাগজ পত্র প্রদর্শন করে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষরা তাদের নামজারি প্রমাণাদি ছাড়া অন্য কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি।
উভায় পক্ষর কাগজ পত্র দেখে। গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভুমি) নাজমুল আলম আগামী অক্টোবর ১৮ তারিখের মধ্যে পৃর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসকে নির্দেশ দেন।
জমির মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, উপজেলা ভূমি অফিসে মামলা চলমান রয়েছে তারপরও প্রতিপক্ষরা সহকারী কমিশনার ভূমি এর নির্দেশ অবমাননা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই জমিতে থাকা পটলক্ষেত কর্তন করেছে। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী কৃষক আমিরুল ইসলাম ও হাশেম আলী তাদের পটলক্ষেত বিনষ্টে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
প্রতিপক্ষ হযরত আলীর নিকট থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অজুহাত দেখিয়ে কোন বক্তব্য দিতে চাননি।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বজলু রহমান জানান, কৃষকের ফসল কাটার অভিযোগ শুনেছি ঘটনা স্থলে তদন্ত করার জন্যে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।