মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিন্দা খাঁ পাড়া ওয়াক্তিয়া মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। সোমবার এশার নামাজের পর রাতের কোন এক সময়ে এ তালা ঝুলানোর ঘটনা ঘটে। মসজিদটির জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হকের নিকট থেকে মসজিদের নামে আরো এক কাঠা জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার দাবিতে মসজিদটিতে তালা লাগানো হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এ বিষয়ে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক বাদি হয়ে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আজিজুল জানান, তিনি ২০০২ সালে নিজে এক কাঠা জমি মসজিদকে দান করে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর নিজ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় মসজিদটি পাকা করা হয়। গ্রামের একটি গোষ্ঠি প্রায়শই বিভিন্ন অজুহাতে মসজিদটি বন্ধ করে দেয়। তারা হলো- আঃ রহমানের ছেলে কামাল খাঁ, দেলোয়ার খাঁ, জামাল খাঁ তার ছেলে কাজল খাঁ, ইউসুব মৌলভীর ছেলে বুলু, খেদের আলীর ছেলে খলিলুর রহমান। তারা ইতোপূর্বে ২০১৮ সালেও এ মসজিদটি একবার বন্ধ করে দিয়েছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তা আবার খোলা হয়। কয়েক মাস আগে ধানখোলা ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে মফিজুল ইসলামের পক্ষে ভোট করায় ওই পক্ষটির প্রার্থী পরাজিত হয়। তার পর থেকে সবক্ষেত্রে তারা বিরোধিতা করে চলেছে। এরই ফল হিসেবে গতকাল সোমবার মসজিদের নামে আরো এক কাঠা জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে হবে তা না হলে মসজিদে তালা ঝুলানো হবে। এমন বাকবিতন্ডার পর রাতের কোন এক সময়ে প্রতিপক্ষরা মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ বিষয়ে তিনি বাদি হয়ে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে কাজল খাঁ তার পিতা জামাল খাঁ জানান, মসজিদের নামে আরো এক কাঠা জমি আজিজুল হক বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রি না দিয়ে ১৫ দিন আগে স্থানীয় নজরুল ইসলাম ফড়–র মাধ্যমে তিনি জমির মূল্য তিন লক্ষ টাকা দাবি করেন। তাতেও স্থানীয়রা রাজী হয়। তবে আপাতত ২০ হাজার টাকা দিয়ে বায়না করার প্রস্তাব দেয় স্থানীয়রা। এ শর্তে রাজী না হওয়ায় স্থানীয়রা মসজিদটিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। ফলে মুসল্লিরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তালা খুলে দিয়ে মুসল্লিদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার বিকেলে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিস্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।