দুর্ঘটনা মুক্ত নিরাপদ সড়ক ও এলাকার জনগণের দাবির প্রতি অধিক সম্মান দেখিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাপ্তরিক জটিলতার অবসান ঘটানো হবে। গাংনী বাসস্ট্যান্ড যাত্রী ছাউনী, আঃ মালেক স্টোর ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের দোকান অপসারণ হবে। অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক উন্নয়নের কাজ বন্ধ রাখা হবে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে নথিপত্র প্রস্তুতের জন্য সময়ের প্রয়োজন। এলাকায় শান্তির শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ তাঁর কার্যালয়ে গাংনী বাজারের নিরাপদ সড়ক প্রত্যাশী ব্যবসায়ী ও এলাকার আন্দোলনকারী প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, গাংনী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, গাংনী মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ আসাদুল আলম খোকন, সদস্য রেজাউল হক, হাফিজুর রহমান মানিক, হাজী রিয়াজ উদ্দিন কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন বাবু, গাংনী এস এম প্লাজার একাংশের স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম, ওয়ালটন শোরুমের স্বত্বাধিকারী সাজু আহমেদ,গাংনী বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল হক স্বপনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গাংনী বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনী মেহেরপুর- কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। এ যাত্রী ছাউনীর কারণে সড়কের চলমান উন্নয়নের কাজ বন্ধ রয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। প্রায়সই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সড়কের সুশৃঙ্খল ফেরাতে আগে গাংনী বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনীসহ আঃ মালেক স্টোর এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডারের দোকান অপসারণ করতে হবে দাবি উত্থাপন করে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গাংনী বাজারে নিরাপদ সড়ক প্রত্যাশী ব্যবসায়ী ও এলাকারবাসী আন্দোলনের ডাক দেয়। আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে সড়কের ওপর কাঠের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা এসে উপস্থিত হন। প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা চলে।
পরে নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারী, সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর সমন্বয়ে গঠিত ২০-২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ মহোদয়ের কার্যালয়ে উপস্থিত হন। প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের দাবির প্রতি অধিক সম্মান জানিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন জেলা প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা।