মেহেরপুরে সুমন কসাই হত্যা মামলায় আব্দুল আউয়াল নামের এক ব্যক্তিকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সুমন কসাই গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের শমশের আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (০২ মে) দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুল আওয়াল গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৬ জুন দুপুরের দিকে কাজীপুর গ্রামের শমসের আলী ছেলে সুমন কসাই তার ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে সাইকেলের যোগে বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে আব্দুল আউয়াল পরকীয়া সম্পর্কে জের ধরে তার উপরে হামলা চালায়। এ সময় হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সুমনকে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বামুন্দি, পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে, সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় সুমনের পিতা শমসের আলী বাদী হয়ে গাংনী থানায় ৩৪১/৩০২ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জি আর কেস নং ১৮৪ /১৫। যার দায়রা নং ২০০/ ২০১৭।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুক্তার হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি ৩৪১/৩০৪ ধারায় অন্তর্ভুক্তি করা হয়। মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি আব্দুল আউয়াল দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ৮ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মামলায় অপর ৩৪১ ধারায় আব্দুল আওয়ালকে এক মাসের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক এবং আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম কৌশলী ছিলেন।
মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী শহিদুল হক জানান, ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। ন্যায় বিচারে আদালত ১ জন আসামিকে ৮ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
আসামি পক্ষে অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম জানান, আমরা এ রায়ে অসন্তুষ্ট এবং ক্ষুব্ধ। আমরা সঠিক বিচার পাইনি। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।