দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। “সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে, এর কোনো বিকল্প নেই”। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তোরনের পথ প্রশস্থ হবে। এটার কোন বিকল্প নেই। পিআর পদ্ধতি আর আসন ভিত্তিক পদ্ধতি দুটোর ইতিবাচক দিক আছে কোনটিই ত্রুটি মুক্ত নয়। দুটোরই দরকার আছে।
আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করেছি নিম্নকক্ষে হবে আসন ভিত্তিক বর্তমানে যে পদ্ধতি আছে। আর উচ্চকক্ষ হবে পিআর পদ্ধিতিতে আনুপাতিক হারে। দুটিরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আছে। এজন্য আমরা মনে করি দুটোই হওয়া দরকার।
গাংনী উপজেলা সুজন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী তাজিমা হোসেন মজুমদার।
উপজেলা সুজন সম্পাদক এ এস এম সায়েম পল্টু ও পিএফজি উপজেলা সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বকুলের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নাবিদ হোসেন, গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল, গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মহিবুর রহমান মিন্টু, সুজন মেহেরপুর জেলা শাখার সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেন প্রমুখ।
এসময় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও পিএফজির পিস এ্যাম্বাসেডর জুলফিকার আলি ভুট্টো, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক ও পিস অ্যাম্বাসেডর জাকিয়া আক্তার আল্পনাসহ ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।