মেহেরপুরের গাংনীতে কলাক্ষেত থেকে আতিয়ার রহমান (৩৫) নামের এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে টার দিকে উপজেলার বাদিয়াপাড়া জেদ্দা-2 ইটভাটা এলাকায় সাহাজুল ইসলামের কলাক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আতিয়ার রহমান উপজেলার করমদি গ্রামের মাঠপাড়ার রহিদুল ইসলামের ছেলে। গাংনী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাইল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত আতিয়ার রহমানের চাচাতো ভাই টিকারুল ইসলাম জানান, আতিয়ার রহমান পেশায় একজন ভ্যান চালক। গতকাল শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে বাড়ি ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য সকল আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজখবরও নেয়া হয়েছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বাদিয়াপাড়া এলাকায় ইটভাটার পাশে কলাক্ষেতে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে রয়েছে, এমন খবর জানতে পেরে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি আতিয়ার রহমানের বলে সনাক্ত করে।
মৃত ব্যক্তির স্ত্রী জুলেখা খাতুন জানান, আমার স্বামী গতকাল শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে বাড়ি ফেরেনি। তার ফিরতে দেরি হওয়ায় সকল আত্মীয়- স্বজনের বাড়িতে খোঁজখবরও নেয়া হয়েছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাদিয়াপাড়া গ্রামে ইটভাটার পাশে কলাবাগানের মধ্যে একটি লাশ পড়ে আছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে আমার স্বামীর নিথর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখি। তার মাথার পিছনে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, উপজেলার বাদিয়াপাড়া এলাকার একটি কলাক্ষেত থেকে আতিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তির মাথার পিছনে বড় ধরনের রক্তাক্ত ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে বামন্দি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সর একটি টিম গাংনী থানা পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। লাশটি যে মর্গে পাঠানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।