প্রতিষ্ঠানে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর বা প্রতারণামূলক তথ্য এমনকি ভোক্তাদেরকে প্রতারিত করে পণ্য বিক্রির দায়ে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ও গাংনী পৌরশহরে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক তাদের দোষ স্বীকার করায় দুটি প্রতিষ্ঠানে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দু’টি হলো- বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মেসার্স মিজান ব্রাদার্সের মালিক রুবেলকে ১৫ হাজার টাকা এবং গাংনী পৌর শহরের মেসার্স আকমল স্টোর এ্যান্ড গিফট কর্নারের মালিক আকমল হোসেনের নিকট থেকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অঃ দাঃ) মোহাম্মদ মামুনুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুরের গাংনীর বাঁশবাড়িয়া গ্রাম ও গাংনী বাজার এলাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে নকল গনি গুল বিক্রিসহ বেশকিছু কসমেটিক্স পণ্যের তদারকি করা হয়।
এসময় মেসার্স মিজান ব্রাদার্স নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে প্রচুর নকল গনি গুল ও কোম্পানির নাম বিহীন শিশু খাদ্য পণ্য জব্দ করা হয়। আকমল কসমেটিক্সে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত তালিকার ১৭ টির মধ্যে প্রায় ১৩ টি পূর্ণ পাওয়া গেছে। ওই অপরাধে প্রতিষ্ঠান দু’টিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে প্রতিষ্ঠান দু’টিকে মনিটরিং করে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে সাথে আগামী দুই দিনের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত মালামাল দোকান থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তিন বছর যাবত শিশু খাদ্য বিক্রি করলেও নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। আগামী বুধবারের মধ্যেই শিশু খাদ্য বিক্রির আবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির মেহেরপুর জেলা সহকারী পরিচালক (অঃ দাঃ) মোহাম্মদ মামুনুল হাসান। নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি কর্মকর্তা মশিউর রহমান এবং জেলা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের ওই কর্মকর্তা।