মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে ইতিহাসের প্রথম ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনটি গাংনী উপজেলার প্রথম সীমানা গাড়াডোব ব্রিজ এলাকা থেকে শুরু হয়ে শেষ সীমানা খলিশাকুন্ডী ব্রিজ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। পুরো ২৩ কিলোমিটারজুড়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

স্থানীয়দের দাবি, গাংনীতে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ এবং গণঅংশগ্রহণে সমৃদ্ধ মানববন্ধন। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল।
জানা গেছে, জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার খবরে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভে নামে। তাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দীন কালু বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে দেওয়ার জন্য গাংনীবাসী আজ রাস্তায় নেমেছে।
তিনি আরো বলেন, আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে গাংনীর ইতিহাসে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপজেলার গাড়াডোব থেকে শুরু করে খলিশাকুন্ডি ঘাট পর্যন্ত ব্যাপক নেতাকর্মীদের উপস্থিত নিশ্চিত করা হয়। মাঠ পর্যায়ের জরিপ ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রদান করার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা ও সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক মাস্টার, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা লাইলা আরজুমান বানু, উপজেলা বিএনপির নেত্রী ফরিদা পারভীন, বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাশিদুল ইসলাম সোহাগ, মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক, মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সভাপতি শরিফুল ইসলাম মাস্টার, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন হোসেন, সুমন এডাম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বিপ্লব, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রিপন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।