মেহেরপুরের দুইটি সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
মেহেরপুর ১ আসনে পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন। মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন। প্রার্থিতার এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা বাসস্ট্যান্ডের পার্টি অফিসে সমবেত হন।

এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “এখন আনন্দ করার সময় নয়, বরং ধানের শীষকে বিজয়ী করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়। বিজয় অর্জনের পরই আমরা একসাথে আনন্দ করব।”
ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেন তাঁর সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“মাত্র ২২ দিনের জন্য এ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মাঠ জরিপের ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে। তাই নিজেদের মধ্যে বিভেদ না করে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।”

তবে মনোনয়ন ঘোষণার পরপরই গাংনীতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের মনোনয়নের খবর পেয়ে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে “অপ্রত্যাশিত মনোনয়ন মানি না, মানবো না” স্লোগান দেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাংনী ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে মহড়া দেন। পরে মিল্টনের সমর্থকরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অপ্রত্যাশিত মনোনয়ন বাতিল করে জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান। তাঁরা সতর্ক করে বলেন,“মনোনয়ন পরিবর্তন না হলে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলীসহ ইউনিয়ন ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।