নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার ১৪৪ তম জন্মবার্ষিকী ও ৯২ তম প্রয়াণ দিবস আজ। ১৮৮০ সালের এই দিনে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দের এক নিভৃত পল্লীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এ মহীয়সী নারী ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর এদিন (৯ ডিসেম্বর) সারাদেশে সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও রোকেয়া দিবস পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মেহেরপুরের গাংনীতে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে পৌরসভা সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ের ট্রেড প্রশিক্ষক নার্গিস সুলতানা নির্জনার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “নারী অধিকার সুরক্ষা করি, উন্নত দেশ গড়ি”।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা শামীম রেজা প্রমুখ।
এ সময় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ শিক্ষার্থীরা, ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পাঁচজন জয়িতাকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। জয়িতারা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী রায়পুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের কাকলি খাতুন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আফরোজা খাতুন, সফল জননী নারী চৌগাছা গ্রামের মাহফুজা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী তিনি কাজিপুর ইউনিয়ন ও কাজিপুর গ্রামের আক্তারবানু, ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী তিনি কাথুলী ইউনিয়ন ও কাথুলী গ্রামের ভাবীরণ নেছা।