জমি সংক্রান্ত বিরাধের জের ধরে কৃষক সাদেক আলী নিহতের ঘটনায় গাংনী থানায় একটি মামলা হয়েছে। শনিবার বিকেলে মামলাটি করেন সাদেক আলীর ভাই আবুল কাশেম। এদিক হামলার প্রধান আসামী খাইরুলকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুষ্টিয়া থানা পুলিশের একটি টীম তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গাংনী থানা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া সদর থানার একটি টীম হামলাকারী হোগলবাড়িয়া গ্রামের খাইরুলকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে। তাকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তিনিই ছিলেন হামলার পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ হামলাকারী। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলা নং- ১৪, তাং ১৯/০২/২২ ইং। মামলায় ১৭জনকে আসামী ও আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
সুত্র জানায়, ১৫ বিঘা খাস জমি নিয়ে হোগলবাড়িয়া গ্রামের সাদেক আলী গং ও খাইরুল ইসলাম গংয়ের সঙ্গে বিরোধ চলছিল একযুগ ধরে। এনিয়ে উচ আদালতে মামলা চলমান। গত বুধবার ওই জমিত সাদেক আলী গং ধানের চারা রোপণ করেন। বহষ্পতিবার প্রতিপক্ষ খাইরুল ইসলাম গং ওই জমিতে রোপণকৃত চারা বিনষ্ট করে। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে আবারো ওই জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যান সাদেক আলী গং। এসময় ওৎ পেতে থাকা খাইরুল ও তার লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং লাঠি সোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাদেক আলী। আহত হয় তার সহযাগী আরা ৫ জন।
সুত্র আরো জানায়, হোগলবাড়িয়া গ্রামের মাঠে দুটি মৌজায় ১৫ বিঘা জমি। ওই জমি নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। দুটি পক্ষ সব সময় একে অপরের ফসল বিনষ্ট করে। এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলা থেকে জামিন এসে তারা আবারো ফসল নষ্ট করার কাজে লিপ্ত হয়।