মেহেরপুরের গাংনীতে সিটি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট খাদেমুল ইসলামের হত্যার ঘটনায় গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। যার নম্বর ৩০, তারিখঃ ২৭/০৮/২০২১ ইং। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম। দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই তিনি তার মেধা, দক্ষতা ও সততার সাথে কাজ করে তার সঙ্গীও এস আই নুর ইসলামসহ অন্যান্য অফিসার ফোর্সদের সহযোগিতায় ২৭/০৮/২০২১ ইং তারিখ দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার কচুইখালী গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি এলাকা থেকে সন্দেহভাজনভাবে ঘটনায় জড়িত সুমন (৩৫) নামের একজনকে আটক করেন। মামলার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বেশ কিছু আলামত উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন। সুমন মেহেরপুরের টুঙ্গীগোপালপুর গ্রামের শমশের আলীর ছেলে।
২৮/০৮/২০২১ ইং তারিখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালত প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সাজেদুল ইসলাম গাংনী থানায় যোগদানের শুরু থেকেই থানায় আগত প্রতিটা সেবা প্রত্যাশীদের আকাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানসহ সততা ও চমৎকার ব্যবহারের জন্য গাংনী থানাবাসির জনগণের মন জয় করে নিয়েছেন। সেকারণে তিনি সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন বারবার। তার একাগ্রতা, সততা, দক্ষতা ও দূরদর্শিতার সাথে মেধার বিকাশ ঘটিয়ে আধুনিকতা ও প্রযুক্তির ব্যবহারে অপরাধ কমাতে নিরলস ভাবে কাজ করে অনেক গুলো ঘটনার সফলতা এনেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গাংনী থানায় গুরুত্বপূর্ণ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন এবং কোনরুপ নিরীহ মানুষকে হয়রানি ছাড়াই প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারসহ আইনে সোপর্দ করেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে মহিষাখোলা গ্রামে আলোচিত আফরোজা হত্যা মামলা যার নং- ২০, ধর্মচাকী গ্রামের ওমর আলী হত্যা মামলা যার নং-০১, তারিখ ০১/০৪/২০২০ ইং, পূর্ব মালসাদহ গ্রামের আলোচিত চম্পা হত্যার মামলা যার নং- ১১, তারিখ ১৫/০৪/২০২০ ইং, সাহেবনগর গ্রামের লিচুবাগান দখলকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার যার মামলা নং- ১৬ ও ১৭ তারিখ ১৭/০৫/২০২০ ইং ফলে এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে এবং একজন সৎ ও যোগ্য পুলিশ অফিসার হিসাবে মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন একাধিকবার।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি দমন ও পুরাতন মটমুড়া গ্রামে আলোচিত ১৯৫টি গাঁজা গাছ, বালিয়াঘাটে ২টি ও রায়পুর গ্রামে ৭টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করাসহ মাদক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এলাকায় ও পুলিশ ডিপার্টমেন্টে প্রশংসিত হয়েছেন।