মেহেরপুরের গাংনী থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলমকে আটক করেছে সিপিসি ৩, র্যাব-১২ এর সদস্যরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু করে ২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে গাংনীস্থ নিজ নিজ বাসা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
এমএ খালেক সদ্য সাবেক গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং একেএম শফিকুল আলম ২০০৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
কোম্পানী কমান্ডার, সিপিসি-৩, র্যাব ১২ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ পিপিএম বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল পৌনে চারটার দিকে এক প্রেস রিলিজ মারফত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ০৫ আগস্ট ইংরেজি তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আ.লীগ সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি এবং ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপ করার জন্য আটক হওয়া আসামীরা আ.লীগ সমর্থিত লোকজন নিয়ে নিজ নিজ বাসায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করছে এবং আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টা ৩৫ মিনিটে কোম্পানী কমান্ডার, সিপিসি-৩, র্যাব ১২ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে গাংনী পৌর এলাকার তিন নম্বর ওয়ার্ড গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজ পাড়া হতে মেহেরপুর জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ একেএম শফিকুল আলমকে আটক করেন। অ্যাডঃ একেএম শফিকুল আলম চৌগাছা সরকারি কলেজ পাড়ার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
একই তারিখ রাত ২টা ১৫ মিনিটের সময় গাংনী থানা রোডের নিজ বাড়ি থেকে মেহেরপুর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক (৫৯) কে আটক করেন। এম এ খালেক গাংনী পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মোজাহার আলী বিশ্বাসের ছেলে।
আটকদের মামলা নং-১১, তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২৪ সন্ত্রাস বিরোধী দমন আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) ধারা ৬(২)/১০/১১/১২/১৩ মূলে গ্রেফতার দেখিয়ে গাংনী থানার মাধ্যমে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।